মহম্মদ আসিফ। ফাইল চিত্র
কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের ৭০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। শনিবার চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারীরা। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং প্রমাণ লোপাটের ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ, বাবা, মা, ঠাকুমা এবং বোনকে খুন করেছিলেন কালিয়াচকের পুরনো ১৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা বছর উনিশের মহম্মদ আসিফ। ১৯ জুন ৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়। একই সঙ্গে আসিফ তাঁর দাদাকেও খুনের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি কোনওমতে বেঁচে যান। ২৭৩ পাতার চার্জশিটে কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতার কথাও তুলে ধরেছেন তদন্তকারীরা।
আসিফের দাদা আরিফ মহম্মদ থানায় গিয়ে ওই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কথা জানিয়েছিলেন। তা জানার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এর পর গত ১৯ জুন আসিফের বাড়ি থেকে তাঁর বাবা জাওয়াদ আলি (৫৩), মা ইরা বিবি (৩৬), বোন রিমা খাতুন (১৬) এবং ঠাকুমা আলেক নুর বেওয়া (৭২)-র পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, আসিফ জেরায় জানিয়েছেন, বাড়ির সকলকে তিনি ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। এর পর চৌবাচ্চার জলে ডুবিয়ে তাঁদের খুন করার পরে সকলের দেহ বাড়ির পাশে তৈরি করা গুদাম ঘরে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেন। এই ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিশ। আরিফ কোনওমতে পালিয়ে যান। তবে তাঁকে আসিফ খুনের হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ। ওই কাণ্ডের ৩ মাস পর আরিফ পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসিফের ২ বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র।
সেই ঘটনার ৭০ দিনের মাথায় পুলিশ চার্জশিট দিল ওই কাণ্ডে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, খুন, খুনের চেষ্টা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে আসিফের বিরুদ্ধে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ৪৪ জন সাক্ষীর। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy