Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Teesta River Dredging

তিস্তা-সহ পাঁচ নদীতে ড্রেজ়িংয়ের সিদ্ধান্ত

ডুয়ার্সের পানা, বাসরা, সঙ্কোশের মতো পাহাড়ি নদীখাতও উঁচু হচ্ছে। মোটা পলির স্তর জমেছে নদীতে। এই নদীগুলিতে বর্ষার সময়ে হুড়মুড়িয়ে জল নামে।

তিস্তা নদী।

তিস্তা নদী। —ফাইল চিত্র।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৭
Share: Save:

তিস্তার সঙ্গে রোহিনী, তোর্সা, বাসরা, জয়ন্তী এবং রায়ডাক নদীতেও ড্রেজ়িং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দফতর। প্রাথমিক সমীক্ষায় দফতরের অনুমান, সব মিলিয়ে খরচ প্রায় ৬০০ কোটির কাছাকাছি। সব নদীকে এক সঙ্গে নিয়ে বিশদ সমীক্ষা রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি শেষের পথে। দফতরের দাবি, দ্রুত নদীখাতের ড্রেজ়িং অর্থাৎ পলি তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। ১৯৬৮ সালে বন্যার পর থেকে তিস্তায় পলি জমেছে। গত বছর ফের সিকিমে বিপর্যয়ের পরে পলিস্তর পুরু হয়েছে। নদীখাত মাঝামাঝি উঁচু হয়ে গিয়েছে। তাতেই শুরু বিপত্তি। জল অল্প বাড়লেই নদী উপচে আশপাশের গ্রামে ঢুকে পড়ছে। তিস্তার মতোই শিলিগুড়ি লাগোয়া রোহিনী নদীর খাতও উঁচু হয়ে গিয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। সেচ দফতরের দাবি, এখনই ড্রেজ়িং করা না হলে আগামী এক দু’বছর পরে নদীর আশেপাশের বহু জনপদের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে।

ডুয়ার্সের পানা, বাসরা, সঙ্কোশের মতো পাহাড়ি নদীখাতও উঁচু হচ্ছে। মোটা পলির স্তর জমেছে নদীতে। এই নদীগুলিতে বর্ষার সময়ে হুড়মুড়িয়ে জল নামে। নদীখাত উঁচু হয়ে পড়ায় বহু এলাকায় পাশের গ্রামের উচ্চতায় নদী বইছে। বর্ষায় জল বাড়লে নদীগুলি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা। সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার (উত্তর-পূর্ব) কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “ড্রেজিং করা ছাড়া এখন আর উপায় নেই। পাহাড় থেকে জল পলি নিয়ে নামছে। নদীখাত উঁচু হয়ে যাওয়ায় জল ধারণ করার ক্ষমতা কমেছে।”

সেচ দফতরের প্রস্তাব, বর্ষা খানিকটা কমে এলেই নদীতে ড্রেজ়িং করা শুরু হোক। শীতের শুরুতে এক পশলা বৃষ্টির প্রবণতা থাকে, তার আগে ড্রেজ়িংয়ের কাজ শুরু করার চেষ্টা করছে দফতর। ড্রেজ়িং করার আগে কোথা থেকে পলি তোলা হবে, কত মিটার তোলা হবে সে নিয়েও নিখুঁত পরিকল্পনা করতে হবে। তবে সবার আগে প্রশ্ন, যে মোটা অঙ্কের বরাদ্দের প্রয়োজন তা আদৌও মিলবে কি?

সেচ দফতরের একাংশের দাবি, কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়া তিস্তার ড্রেজ়িং সম্ভব নয়। কেন্দ্রের বরাদ্দ যেমন প্রয়োজন, তেমনিই কেন্দ্রের থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও লাগবে। যদিও রাজ্যের এক সেচকর্তা মনে করাচ্ছেন, গত কয়েক বছর তিস্তার জন্য কেন্দ্রের ব্রহ্মপুত্র বোর্ড থেকে এক নয়া পয়সাও মেলেনি। কাজেই পরিকল্পনা হয়ে থাকলেও ড্রেজ়িংয়ের বরাদ্দ মিলবে কিনা সে প্রশ্ন ঝুলেই রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Teesta River Irrigation department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE