Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর ‘বিয়ে’ দিলেন স্বামী

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বংশীহারি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ওই যুগলকে নিয়ে যেতে চাইলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বংশীহারি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০৫:০৭
Share: Save:

দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক রয়েছে, সে কথা এক টোটোচালক যুবক জানতেন। জানতেন তাঁর পাড়ার লোকজনও। তিনি বাড়ি না থাকলে পেশায় পুলিশকর্মী ওই যুবক যে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন, তা-ও জানতেন সকলে। বৃহস্পতিবার এমনই ভাবে ওই পুলিশকর্মী তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন। তা দেখতে পেয়ে পাড়ার লোকজন ওই বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে শিকল তুলে দেন। তার পরে খবর দেওয়া হয় ওই বধূর স্বামীকে। তিনি গিয়ে ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে নিজের স্ত্রীর ‘বিয়ে’ দিয়ে দেন। ওই পুলিশকর্মী তাঁর স্ত্রীকে শাঁখা, সিঁদুর পরিয়ে দেন সকলের সামনে। যদিও এই ‘বিয়ে’ আইনসম্মত নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বংশীহারি থানার ডিটল এলাকার ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় স্থানীয় থানায় কর্মরত ওই পুলিশকর্মীর। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তার পর ওই পুলিশকর্মী মাঝে মধ্যেই টোটোচালকের অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে যেতেন বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। এ দিন দুপুরেও টোটোচালক বাড়িতে ছিলেন না। ওই পুলিশকর্মী মোটরবাইক নিয়ে তাঁদের বাড়ি যান। এলাকার মানুষ তার পরেই বাড়ি ঘিরে ফেলেছেন। তাঁরা টোটোচালক যুবককে খবর দেন। তিনি ফেরার পরে দরজা খোলার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা।

সে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বংশীহারি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ওই যুগলকে নিয়ে যেতে চাইলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এর পরই গৃহবধূর স্বামী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমিকের ‘বিয়ে’ দেন। পুলিশের গাড়িতেই ‘বিয়ে’ হয় প্রেমিক যুগলের। প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে গৃহবধূকে শাখা সিঁদুর পরিয়ে দেন প্রেমিক পুলিশ।

এরপর দু'জনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গৃহবধূর দুই ছেলে রয়েছে। তাঁর স্বামী জানান, স্ত্রীর পায়ে ব্যথা, তাই ওষুধ দিয়ে টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ তাঁর দাদা ফোন করে তাঁকে বাড়িতে আসতে বলেন। কারও কিছু হয়েছে ভেবে তড়িঘড়ি বাড়ি আসেন তিনি। এসে দেখেন ঘরে তালা। পরিবারের লোকের কাছে জানতে পারেন, তাঁর অবর্তমানে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। এলাকার বাসিন্দা দীপন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এলাকারই এক বধূর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বংশীহারি থানার এক পুলিশকর্মীর। এলাকার লোক তাতে রেগে গিয়েছিলেন।’’ স্থানীয় মহকুমা পুলিশ অফিসার বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Marriage Banshihari Lover Love Relationship
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE