দার্জিলিঙের মলে পর্যটকদের ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।
তাপমাত্রার পারদ চড়ছে দক্ষিণবঙ্গে। তবে উল্টো পরিস্থিতি দার্জিলিঙে। তাই সমতলে তাপমাত্রা চড়তেই পাহাড়ে ভিড় বাড়াচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে গুড ফ্রাইডে থেকে। তাঁরা আশাবাদী, এই ভিড় থাকবে পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত।
এখনও চৈত্র শেষ হয়নি। কিন্তু খাতায়কলমে গ্রীষ্ম আসার আগেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই দক্ষিণবঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই একটু শীতলতার খোঁজে পাড়ি জমিয়েছেন দার্জিলিং। পাহাড়ের পর্যটন সংস্থাগুলির বক্তব্য, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭৫-৮০ শতাংশ হোটেল ইতিমধ্যেই বুক হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ দার্জিলিং। তবে শৈলশহর ছুঁয়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন পাহাড়ের বিভিন্ন রুটে। পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামে হোম স্টে এবং ক্যাম্পিংয়েও বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। এখন দিনের বেলা অল্প গরম পাহাড়ে। তবে বেলা বাড়তেই তাপমাত্রা কমছে। পাশাপাশি, পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে কুয়াশাও।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘গত বছর এই সময়ে বাগডোগরা বিমানবন্দর বন্ধ ছিল। ফলে সে ভাবে পর্যটকরা আসেননি পাহাড়ে। কিন্তু এ বার সেই রেকর্ড ভেঙেছে। দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ সিকিমের বিভিন্ন হোটেলে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ বুক হয়ে গিয়েছে। সমতলে এখন গরম হলেও পাহাড়ের পরিবেশই আলাদা। এই পরিস্থিতি আশা করি পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত থাকবে।’’
পশ্চিমবঙ্গ ইকো ট্যুরিজ়ম দফতরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, ‘‘মূলত গুড ফ্রাইডে থেকে ছুটি শুরু হয়। পয়লা বৈশাখ থেকে পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশা করছি আমরা। তবে এ বছর তার আগে থেকেই পাহাড়ে পা জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। বহু পর্যটক রয়েছেন দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ সিকিমে। আশা করি, এই ভিড় মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy