দার্জিলিং জেলা সফরে জি ২০ বৈঠকের চিফ কো-অর্ডিনেটর হর্ষবর্ধন সিংলা-সহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
সব ঠিক থাকলে, আগামী এপ্রিল মাসে দার্জিলিং জেলায় হতে চলেছে পর্যটন বিষয়ক জি ২০ বৈঠক। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া একটি চা রিসর্টে বসবে জি ২০ আসর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ১ থেকে ৩ এপ্রিল হতে পারে শিলিগুড়ি, দার্জিলিঙে জি ২০ বৈঠকের আয়োজন। চা পর্যটন, গ্রামীণ পর্যটন এবং অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনকেই বিদেশি অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে।
অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে থাকছে চা বাগানে পাতা তোলা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্র ঘুরে দেখানো এবং টয় ট্রেনের রাইড। আয়োজনের রূপরেখা ঠিক করতে বৃস্পতিবার দার্জিলিং জেলা ঘুরে গেলেন জি ২০ দেশগুলির চিফ কো-অর্ডিনেটর হর্ষবর্ধন সিংলা, কেন্দ্রীয় পর্যটন সচিব অরবিন্দ সিংহেরা। প্রাথমিক স্তরে তাঁরা অনুষ্ঠানসূচি নিয়ে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রথমে ৩ থেকে ৬ এপ্রিল এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শেষ দিন পূর্ণিমার রাতে চা বাগানে পাতা তোলার রেওয়াজ উপলক্ষে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বৈঠকের সূচি এগোলে তা কতটা করা যাবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। কার্শিয়াঙের মকাইবাড়ি চা বাগানে পূর্ণিমার রাতে বিশেষ এলাকার চা পাতা তোলার রেওয়াজ রয়েছে। মূলত, মহিলা শ্রমিকেরাই এ কাজ করে থাকেন। সে চা পাতা ইউরোপ-সহ গোটা বিশ্বের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত। মকাইবাড়ি-সহ তিনটি বাগানে বিদেশি অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
রাজ্য পর্যটন দফতরের সচিব পর্যায়ের এক অফিসার বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের পর্যটন এবং তা ঘিরে নানা আকর্ষণকে অতিথি-প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হবে। অনুষ্ঠানসূচির বদল হওয়ায় কিছু অদল-বদল হতে পারে। পূর্ণিমার রাতের বদলে সাধারণ রাতে চা পাতা তোলার বিষয়টি দেখানো যায় কি না, দেখা হচ্ছে।’’
বুধবার নিউ চামটা চা রিসর্টে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ছাড়াও, রাজ্য পর্যটন দফতর, প্রশাসন, জিটিএ ( গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এবং বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা ছিলেন। শিলিগুড়িতে জি ২০ বৈঠকের মূল পর্বের পরেই প্রতিনিধিদের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে চা পর্যটন, গ্রামীণ পর্যটনের সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার টুরিজ়মের ক্ষেত্রগুলিকে তাঁদের সামনে তুলে ধরা হবে বলে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রক থেকে ঠিক করা হয়েছে। তার ফলে, আগামিদিনে দার্জিলিংকে ঘিরে সরকারি বা বেসরকারি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
রাজ্য পর্যটন দফতরের কয়েক জন কর্তা জানান, উত্তরবঙ্গে পাহাড়, জঙ্গল, হেরিটেজ, চা বাগান, টয় ট্রেনের মতো আকর্ষণ রয়েছে। পাশাপাশি, রয়েছে পাহাড়ে চড়া, তিস্তায় রাফটিংয়ের মতো বিষয়। এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার টুরিজ়ম বিদেশি পর্যটকদের টানে বলে, সে ভাবে জি ২০ আসরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বৈঠক উপলক্ষে গোটা জেলার রাস্তাঘাট, পর্যটন কেন্দ্রে সাজানোও হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy