—প্রতীকী চিত্র।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের চার জনের। মারা গেল একটি গবাদি পশুও। শুক্রবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির গজলডোবার ভোরের আলো থানার টাকিমারি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিঁড়ে ওই দুর্ঘটনা হয়েছে। গোয়াল ঘরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় গবাদি পশুকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বাড়িমালিক। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে একে একে মারা গিয়েছেন স্ত্রী, ছেলে এবং নাতি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কৃষিজমি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ৬৮ বছরের পরেশ দাস। হঠাৎ তিনি দেখেন বাড়ি থেকে গোয়ালঘর পর্যন্ত টাঙানো বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে আছে। গোয়ালে গরু ছিল। সে ঠিক আছে তো? ওই আশঙ্কায় দৌড়ে গোয়ালঘরে যান পরেশ। কিন্তু গোয়ালঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনিও। আগেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় গরুটির। অন্য দিকে, বৃদ্ধের চিৎকারে বাড়ি থেকে থেকে গোয়ালঘরের দিকে দৌড়ে যান পরিবারের তিন সদস্য। কিন্তু ছেঁড়া তারের জন্য বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁরাও। মারা যান পরেশের স্ত্রী দীপালি দাস (৬০)। মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ছেলে মিঠুন দাসের (৩৩)। দাদু, দিদা এবং মামার পিছু পিছু গিয়ে মারা যায় তিন বছরের সুমন দাস।
এমন দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভোরের আলো থানার পুলিশ। তারা চারটি দেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। ওই এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা উদ্বাস্তু সেলের সভাপতি বিক্রম দাস বলেন , ‘‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। একই বাড়ির চার জনের মৃত্যু। গবাদি পশুকে বাঁচাতে গিয়েই এক এক করে চার জনের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছেন। সকলকেই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy