Advertisement
E-Paper
BB_2025_Lead Zero Banner

কুইন্ট্যালে মিলবে বাড়তি ৮৫ টাকা

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার প্রতি কুইন্ট্যাল ধানের জন্য ১ হাজার ৮৩৫ টাকা করে দেওয়া হবে। গত বছর তা ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এ বার কুইন্ট্যাল প্রতি বাড়তি ৮৫ টাকা দেওয়া হবে। চাষিদের উৎসাহ বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

উৎপাদন: ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছে রায়গঞ্জের রাঙাপুকুর গ্ৰামে। ছবি: চিরঞ্জীব দাস

উৎপাদন: ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছে রায়গঞ্জের রাঙাপুকুর গ্ৰামে। ছবি: চিরঞ্জীব দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:০০
Share
Save

ধান চাষে উৎসাহ দিতে সরকারি সহায়ক দর বাড়বে জেলায়।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার প্রতি কুইন্ট্যাল ধানের জন্য ১ হাজার ৮৩৫ টাকা করে দেওয়া হবে। গত বছর তা ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এ বার কুইন্ট্যাল প্রতি বাড়তি ৮৫ টাকা দেওয়া হবে। চাষিদের উৎসাহ বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

মালদহে ওই দফতরের আধিকারিক পার্থ সাহা বলেন, ‘‘আশা করা যায় চলতি সপ্তাহ থেকেই সরকারি কেন্দ্রগুলিতে ধান কেনা শুরু হয়ে যাবে।”

দক্ষিণবঙ্গে বুলবুলের দাপটে ফসল নষ্ট হয়েছে। এ বার কি সে জন্য লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি ধান কেনা হবে? তিনি বলেন, ‘‘এখনও তেমন নির্দেশিকা আসেনি। তবে প্রয়োজনে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা বাড়তে পারে।’’ দফতর সূত্রে আরও খবর, চাষি সেজে জমির রেজিস্ট্রেশন করত ফড়েরা। নিয়মের মধ্যে থেকেই সরকারি কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে বিক্রি করত ধান— গত বছর তা নজরে পড়েছিল প্রশাসনের। ফড়ে-রাজ রুখতে এ বার জমির রেজিস্ট্রেশনে কড়াকড়ি করা হয়েছে।

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। ওই প্রকল্পে কোনও চাষির নাম না থাকলে তাঁকে জমির পরচা দেখাতে হবে। পার্থ বলেন, ‘‘সাড়ে ১২ হাজার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। প্রতিটি ধান ক্রয়কেন্দ্রে অনলাইনে সব কাজ চলছে। যাবতীয় নিয়মের কথা প্রচার করা হচ্ছে। যাতে চাষিরা কোনও ফাঁদে না পড়ে সরাসরি নিজেদের ধান বিক্রি করতে পারেন।’’

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের একাংশ দেরিতে শুরু করেছিলেন ধান চাষ। তবে পরে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বার জেলায় ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরে জেলায় দেড় লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। সাড়ে পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর জেলায় সাড়ে চার লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছিল।

কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা জানান, জমি থেকে ফসল উঠতে শুরু করেছে। প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ধান উঠে গিয়েছে। ধান ঝাড়াইয়ের কাজ চলছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সমস্ত জমির ধান উঠে যাবে।

এক দিকে ধান কাটার তোড়জোড় চলছে, অন্য দিকে ধান বিক্রিতেও তৎপর হয়েছেন চাষিরা। খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় ২ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত বছর তা ছিল ২ লক্ষ মেট্রিক টন।

তবে গত বার অনেক চাষি ধান বিক্রি করতে পারেননি বলে অভিযোগ। চাষিদের একাংশ বলেন, ‘‘ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের পাসবুক, ভোটার কার্ড থাকলেও হতো। আর সেই সুযোগে ফড়েরা চাষি সেজে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রির সুযোগ পেয়ে যেত।’’ তাই এ বারে জমির নথি দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

Paddy Bulbul Farmers

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।