—প্রতীকী চিত্র।
১৮ জুন হয়ে যাওয়া ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণায় অসন্তোষের আঁচ উত্তরবঙ্গেও। অনেক পরীক্ষার্থী ওই সিদ্ধান্তে বিপাকে। পরীক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়িয়েছে কেন্দ্র-বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলিও। পড়ুয়াদের অসন্তোষ আঁচ করছেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) উত্তরবঙ্গের ছাত্র নেতারাও। সম্প্রতি সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট) প্রশ্ন ফাঁস, গ্রেস নম্বর, অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবিভিপি নেতারাই সিবিআই-তদন্তের দাবি তুলতে চান।
এবিভিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির তথা উত্তরবঙ্গের নেতা শুভব্রত অধিকারী বলেন, ‘‘নিট এবং নেট বাতিল নিয়েই আমরা পথে নামব। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-কে দায় নিতে হবে। আমলাতান্ত্রিক ব্যর্থতায় এটা ঘটেছে। সিবিআই-তদন্ত হোক। সাধারণ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত যাতে নষ্ট না হয়, তা কেন্দ্রকে নিশ্চিত করতে হবে।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) রাজ্যে সহকারী সম্পাদক কোচবিহারের বাসিন্দা সায়নদীপ গোস্বামী বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা এখন কেন্দ্রের সরকারের আমলের যেন গ্যারান্টি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আগামী প্রজন্মের জন্য উদ্বেগের।’’
টিএমসিপির উত্তর দিনাজপুর সভাপতি রন্তু দাস বলেন, ‘‘কেন্দ্রের পরিকল্পনার অভাব ও গাফিলতিতে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়লেন।’’ ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তুষার গুহের বক্তব্য, ‘‘এই পরীক্ষার দুর্নীতির পিছনে যারা জড়িত, কেন্দ্রের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া।’’ এসএফআইয়ের রাজ্যের সহ সভাপতি তথা দার্জিলিং জেলার সম্পাদক অঙ্কিত দে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর শিক্ষাকে তোলাবাজির আখড়ায় পরিণত করেছে। রাজ্যেও টেটকে নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের পদত্যাগ চাই।’’ মালদহের প্রায় এক হাজার পরীক্ষার্থীকে ‘নেট’ দিতে হয়েছে শিলিগুড়ি কিংবা কলকাতায় গিয়ে। মালদহের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এখন মুখে কুলুপ বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের।” ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মান্তু ঘোষ বলেন, “রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই সরকারই শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের নেট পরীক্ষার্থী শুভঙ্কর পালের কথায়, ‘‘ট্রেন দুর্ঘটনার দিন, সোমবার শিলিগুড়ি গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তা বাতিল হওয়ার পরে হতাশায় ভুগছি।’’
কোচবিহার অভিভাবক সমিতির সম্পাদক নেপাল মিত্র বলেন, ‘‘শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy