উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।
‘থ্রেট কালচার’ বা হুমকির সংস্কৃতি নিয়ে পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র সঙ্গে তাঁর যোগের কথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সদ্য প্রাক্তন ডিনের মেনে নেওয়া এবং পদ থেকে ইস্তফাকে প্রাথমিক জয় বলে মনে করছেন কলেজের পড়ুয়া আন্দোলনকারীরা। তাঁরা এই ‘থ্রেট কালচার’ দূর করতে চান, বলে দাবি করেছেন। বিতর্কিত ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র অন্যতম তথা প্রাক্তনী অভীক দাস, অপর দুই ছাত্র তথা টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি শাহিন সরকার, বর্তমান সভাপতি সোহম মণ্ডলের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে। ওই তিন জনকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তাঁদের এ দিন ক্যাম্পাসে খোঁজও মেলেনি।
অন্য দিনের মতো আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের এ দিন জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়নি। অধ্যক্ষের দফরে এ দিন পিজিটি পড়ুয়া এবং বিভাগীয় প্রধান ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দফায় দফায় আলোচনা করতে দেখা যায়। রাতে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন পড়ুয়ারা। আজ, শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ‘থ্রেট কালচার’-এর বিরুদ্ধে কলেজ কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ, বুধবারের পরে, এ দিনও নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে আরও বেশ কিছু অভিযোগ আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের গড়ে দেওয়া তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে খবর। আন্দোলনকারীদের তরফে কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সন্দেহভাজন হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাব।’’ তাঁদেরই পক্ষে আর এক জন শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে যে ভাবে ঢেউ উঠেছে, তাতে এটা আমরা থামাতে পারব বলে আশাবাদী। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এর মাধ্যমে
এবং র্যাগিংয়ের নামে নতুন ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy