প্রায় দেড় বছরের খরা কাটিয়ে ডিসেম্বর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প। পর্যটকদের ভিড় বাড়ছিল ডুয়ার্স, দার্জিলিং, কালিম্পঙে। যা দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিগত কয়েক দিনে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে লাগামছাড়া বৃদ্ধি এবং তার জেরে জারি হওয়া কড়া বিধিনিষেধে সে সবই গেল ভেস্তে!
কোভিড-হানায় নতুন বছরের শুরুতে আবার উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল। তেমন আশঙ্কার ইঙ্গিতও মিলল হটেল ব্যবসায়ী ও রিসর্ট মালিকদের কথায়। ডুয়ার্সের রিসর্ট মালিক শেখ জিয়ারুল রহমান বলেন, ‘‘সদ্য পর্যটন ব্যবসাটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। ফুল বুকিং-ও হয়ে গিয়েছিল। পর্যটকরা এখন আসতে শুরু করেছিল। এখন যদি সব বন্ধ করে হয়ে যায় তা হলে পর্যটকরা এসে ঘুরতে কোথায় যাবে? আবার সেই আমাদের আগের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। সত্যিই চিন্তা হচ্ছে।’’
‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর কর্ণধার সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘দার্জিলিং, কালিম্পং এবং ডুয়ার্সের তরাইতে কম করে ১৫ হাজার পর্যটক আছেন। এই পর্যটন যদি এখন বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির মুখতে পড়তে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আগের বার দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ছোট ব্যবসায়ীদের মাজা ভেঙে গিয়েছিল। এ বারও পরিস্থিতি ওই দিকে গড়ালে ওঁরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। সরকারকে বিকল্প কিছু ভাবতেই হবে।’’
নবান্ন থেকে কড়া বিধিনিষেধ ঘোষণা করার পর ইতিমধ্যেই গরুমারা জাতীয় উদ্যান চাপরামারি ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারি এবং ইকো-ট্যুরিজম সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। পুনরায় নতুন কোনও নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।