দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র
কোচবিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে বিএসএফের ডিআইজির সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি তথা খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের। আগামী ৩০ অক্টোবর কোচবিহারেরই দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। তার আগে আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দিলীপের এই সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। যদিও দিলীপের বক্তব্য, লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির সদস্য তিনি। এই বৈঠক তাঁর কাজের অঙ্গ বলেই জানিয়েছেন খড়্গপুরের বিজেপি সংসদ।
বুধবার দিনহাটায় ভোট প্রচার সারেন দিলীপ। তারই ফাঁকে তিনি দেখা করেন বিএসএফ আধিকারিকের সঙ্গে। কোচবিহারের গোপালপুর এলাকায় বিএসএফের সেক্টর অফিসে ডিআইজি শৈলেন্দ্রকুমার সিংহের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি-র জেলা সভাপতি মালতি রাভা রায়ও।
দিনহাটায় উপ নির্বাচনের আগে বিএসএফের আধিকারিকের সঙ্গে বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতির এই সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। অতি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা দেয়, এ বার পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে। সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে বিএসএফের আওতায় থাকবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা। ভোটের দিন গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। যদি এমন পরিকল্পনা তারা করে থাকে তা হলে আমি তীব্র নিন্দা করছি। বিজেপি কোনও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে দিনহাটার মানুষ তার ভোট বাক্সে জবাব দেবেন।’’
তৃণমূলের অভিযোগের জবাবে দিলীপ বলছেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যে স্থায়ী কমিটি আছে তার সদস্য হওয়ার জন্য যেখানে যাই সেখানে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলি। পুজোর আগে বসিরহাট গিয়েছিলাম। এর আগে শিলিগুড়ি এবং হিলিতেও গিয়েছি। আজকে গিয়েছিলাম, ডিআইজির সঙ্গে দেখা হল। আলোচনা হল। আমরা এটা সারা বছরই করে থাকি। ওঁরা হয়তো জানেন না। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’’ এর পরই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘চোরের মনে ভয় থাকে।’’ একই যুক্তি দিয়ে দিলীপের সঙ্গী সুকান্তর মত, ‘‘সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি চোরাচালান কতটা বেড়েছে এ সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধি নিয়ে ফালতু রাজনীতি হচ্ছে। তার প্রয়োজন নেই। এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। কী জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এটা ভাল করে পড়লেই বোঝা যাবে। যে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই ভয় পাচ্ছেন। ভারতকে যাঁরা ভালবাসেন ভারত প্রেমিক যাঁরা তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy