রায়গঞ্জ শহরের নিকাশি নালার জলে ছাড়া হচ্ছে গাপ্পি মাছ। নিজস্ব চিত্র
উত্তর দিনাজপুর জেলায় বৃষ্টি শুরু হতেই জল জমা শুরু হয়েছে। তাতে ডেঙ্গির প্রকোপ ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় জ্বরে আক্রান্ত চার জন পুরুষ রোগীর শরীরে ডেঙ্গির সংক্রমণ মিলেছে। তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর জেলায় এখনও পর্যন্ত ৪৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেও, কেউ মারা যাননি। এই অবস্থায়, জেলায় ডেঙ্গির সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মার দাবি, জেলায় আপাতত ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। প্রতি বছরই বর্ষার সময়ে জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বাড়ে। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় কম রয়েছে। তিনি বলেন, “জেলায় ডেঙ্গির সংক্রমণ রুখতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ডেঙ্গিতে চার জন আক্রান্তের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত অনেক রোগীর রক্তে ‘প্লেটলেট’-এর অভাব দেখা দেয়। ফলে, তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এই পরিস্থিতিতে, দ্রুত ‘প্লেটলেট’ পেতে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে রক্তের উপাদান আলাদা করার একটি কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
এ দিকে ডেঙ্গির জীবাণুবাহক মশার নিধনে শনিবার রায়গঞ্জ পুরসভার তরফে ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন নিকাশিনালা ও জলাশয়ে ৭৫,৬০০ গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাসের দাবি, জেলা মৎস্য দফতরের সহযোগিতায় ওই কাজ হয়েছে। অন্য দিকে, ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশার বংশবিস্তার রুখতে জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় জমা জল ও আবর্জনা সাফাইয়ের কাজে জোর দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন। পাশাপাশি, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল-সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গি নির্ণয়ের রক্ত পরীক্ষাও
বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy