উদ্ধার হওয়া হরিণের শিং-সহ ধৃতেরা। — নিজস্ব চিত্র।
ছ’টি হরিণের শিং-সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করলেন জলপাইগুড়ি জেলার বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের আমবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরা। সোমবার রাতে আমবাড়ির রেঞ্জ অফিসার আলমগির হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ছ’টি হরিণের শিং উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। বন দফতর সুত্রে খবর, পাচারকারীরা প্রথমে গভীর জঙ্গলে হরিণ শিকার করেন। তার পর সেই হরিণের মাংস নিজেরা খান। কিছুটা পরিমাণ মাংস বিক্রিও করেন। শেষে হরিণের চামড়া ও শিং পাচারের চেষ্টা চালান। ক্রেতা সেজে সেই হরিণের শিং কিনতে যান বনকর্মীরা। সাজানো গল্পে বিশ্বাস করেই বন দফতরের পাতা জালে ধরা পড়েন দুই পাচারকারী।
কয়েক দিন আগে একটি হরিণের শিং-সহ এক জনকে গ্রেফতার করেছিল আমবাড়ি রেঞ্জ অফিস। তাঁকে জেরা করে এই চক্রের হদিস মেলে। বেশ কিছু দিন ধরেই চক্রের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন বনকর্মীরা। সেই মতো সোমবার সন্ধ্যায় রেঞ্জ অফিসার আলমগির ক্রেতা সেজে অভিযানে নামেন। শিলিগুড়ির অনতিদূরে ফারাবাড়ি-নেপালিবস্তি এলাকা থেকে ছ’টি হরিণের শিং-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নাম প্রকাশ করেনি বন দফতর বা পুলিশ।
আমবাড়ির রেঞ্জার আলমগির বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল যে, একটি চক্র হরিণের মাংস বিক্রি, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা এই এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে। সেই সূত্রের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে সাফল্য মিলল। চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
বন দফতর সুত্রে খবর, পর্যটকদের মধ্যে হরিণের শিং বা চামড়া কেনার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে ভিন্ রাজ্যের পর্যটকদের মধ্যে এই চাহিদা দেখা যাচ্ছে। আর তাই পর্যটনের ভরা মরশুমে চোরাচালান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও হরিণ শিকার এবং বেআইনি পাচার রুখতে বন দফতর লাগাতার নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy