ফাইল চিত্র।
বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের পরে এ বারে করোনায় আক্রান্ত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও।
শনিবার তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে লালারস পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে তাঁর পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলেই নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সফরে প্রশাসনিক বৈঠকে থাকতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যায় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ‘বিনয় বর্মণ এসেছে?’, ‘রবি এসেছে?’ বলে খোঁজ নেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানান, বিনয় বর্মণের করোনা হয়েছিল। এখন সেরে উঠলেও বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ শারীরিক অসুস্থতার জন্য থাকতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর করোনা হয়েছে কি না। তখন জানানো হয়, তাঁর আশেপাশে অনেকের হয়েছে। ওই এলাকায় তা হলে করোনা বেড়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশও করেন। বস্তুত, পরিবারের একাধিক সদস্যের করোনা হওয়ায় উদ্বেগেও ছিলেন মন্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে রবীন্দ্রনাথের লালারস পরীক্ষা করানো হয়েছিল। দু’বারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এদিন সকালে দোতলার ঘর থেকে নামার সময় সিঁড়িতে চোট পান তিনি। সম্প্রতি তাঁর রক্তে শর্করা বেড়েছিল। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি ছিল। যার জেরে শিলিগুড়িতে চিকিৎসকের কাছে চেকআপে যাওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যেই সকালে সিঁড়ি থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ায় দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে ব্যবস্থা নেন পরিবারের লোকেরা। শিলিগুড়ির এক চিকিৎসকের সঙ্গেও প্রশাসনের তরফে ফোন করে যোগাযোগ করা হয়। মন্ত্রী পুত্র পঙ্কজ ঘোষ বলেন, “সিঁড়িতে নামার সময় বাবা চোট পেয়েছেন। শর্করা, ক্রিয়েটিনিনও খানিকটা বেড়েছিল। শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে এদিন ভর্তি করানো হয়েছে।” এদিন সিটি স্ক্যানে চিকিৎসকরা বুকে সংক্রমণের আভাস পেয়ে ফের তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করান। তাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
মন্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানাজানি হতেই দলের নেতা, কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই পরিবারের লোকদের কাছে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ফোন করেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “রবিদার অসুস্থতার খবর পেয়েছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
কয়েক মাস আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন মন্ত্রী। সেসময় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে জেলায় ফেরেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিলি, সাংগঠনিক কাজেও নেমে পড়েন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy