পরীক্ষা: ফুলবাড়ির সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
ভিড় বা জমায়েত থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। সেই সম্ভাবনা রুখতেই রবিবার থেকে ফুলবাড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রিট্রিট দেখা বন্ধ করে দেওয়া হল পর্যটকদের জন্য। এ দিন থেকেই পঞ্জাবে ওয়াঘা সীমান্তেও একই নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর কর্তারা। তবে, দুই দেশের সেনাকর্মীরা নিয়ম মেনেই ‘রিট্রিট’ পালন করবেন। রবিবার থেকে দর্শকদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে পেলিং এবং গ্যাংটকের দু’টি বিখ্যাত বৌদ্ধ গুম্ফার দর্শনও। পর্যটনের মরসুম শুরুর আগে এরকম নির্দেশে পর্যটকদের সঙ্গে সঙ্গে হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ওয়াঘার ধাঁচে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টেও রিট্রিট দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে দর্শকদের। ইতিমধ্যেই ফুলবাড়িতে ওই অনুষ্ঠান দর্শকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রও হয়ে উঠেছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভিড় থেকে যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ না ছড়াতে পারে, তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তা চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ফুলবাড়ি চেকপোস্টে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল। রবিবার পর্যন্ত শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, ডুয়ার্স বা সিকিমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও খবর আসেনি। তবে সমস্ত স্তরেই সাবধানতা অবলম্ব করা হচ্ছে।
চিকিৎসকদের দাবি, ভিড় হলে একজনের থেকে আর একজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শিলিগুড়ির চিকিৎসক প্রেম দোরজি ভুটিয়া বলেন, ‘‘যে কোনওরকমের ভাইরাসের আক্রমণ ভিড়ের মধ্যেই বেশি ছড়ায়। তাই এরকম পদক্ষেপ ভাল। কারণ কার দেহে ওই রোগের জীবাণু রয়েছে, তা ধরা না পড়া পর্যন্ত বোঝা সম্ভব নয়।’’ চিকিৎসকদের দাবি, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভিড় এড়িয়ে চলা দরকার। যদি একান্তই ভিড়ে যেতে হয়, তাহলে সঠিক মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে সম্প্রতি সিকিম প্রশাসন বিদেশের নাগরিকদের জন্য সেই রাজ্যে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে। এ বার পেলিংয়ের পেমিয়াংশি এবং গ্যাংটকের রুমটেক গুম্ফাও দর্শনার্থীদের জন্য রবিবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পর্যটনের মরসুমের আগে যা চিন্তায় ফেলেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বামী বলেন, ‘‘এই নির্দেশ মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় তো নেই। পর্যটনের উপর এর প্রভাব সামান্য হলেও পড়বে।’’ এখনও পর্যটনের মরসুম শুরু হয়নি। তবে শীত বিদায় নেওয়ার মুখে উত্তরবঙ্গ, সিকিমের দিকে প্রচুর পর্যটক আসছেন। আপাতত প্যাকেজ থেকে ফুলবাড়ি, পেলিং এবং রুমটেকের গুম্ফা বাদ দিয়েই কাজ চালাতে হবে বলেই আক্ষেপ করছেন ব্যবসায়ীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy