দিনহাটা আদালতে হাজিরা দিতে এসে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হল ডিম। ভাঙা হল গাড়ির কাচও!
২০১৭ সালের একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনহাটা মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন নিখিল। সেই সময় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। নিখিল আদালত চত্বরে পৌঁছোতেই তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন উপস্থিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। আদালতে হাজিরা দেওয়া শেষে সেখান থেকে বেরোনোর মুখে ফের বাধে বিপত্তি! আরও এক বার বিধায়ককে ঘিরে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উপস্থিত জনতা। এমনকি, তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম এবং ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় বিধায়কের গাড়ির কাচও।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই দিনহাটা সড়কের উপর মড়াপোড়া মোড়ের কাছে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। নিখিলের কথায়, ‘‘আদালতের কাজে এসেছিলাম। কেন তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাল, তা জানি না। দীর্ঘ দিন ধরেই এই সংস্কৃতি চলে আসছে পশ্চিমবঙ্গে। কাদের মদতে এ সব হচ্ছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। এ রাজ্যে আর গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, স্বাধীন নাগরিকদের বাঁচার অধিকারও নেই।’’
যদিও বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘উনি তো মানুষের ভোটেই বিধায়ক হয়েছিলেন। আজকেও সেই সাধারণ মানুষই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কারণ, গত কয়েক দিন ধরে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা বিরোধী দলনেতা যে ভাবে বাংলার নামে কুৎসা রটাচ্ছেন, তা বাংলার রুচিশীল মানুষ মেনে নিতে পারছে না। সে জন্যই সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।’’ এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় বলেও দাবি করেছেন জয়প্রকাশ।