ঐতিহ্য: এই সেই ইঞ্জিন।
রাজ আমলের ইঞ্জিন এবারে কোচবিহারের রেল সংগ্রহশালায় রাখার দাবি উঠল। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির দাবি, গুজরাতের আমদাবাদে লালভাই দলপতভাই কলেজ অব ইঞ্জিয়ারিং কলেজে কোচবিহারের রাজ আমলের একটি রেল ইঞ্জিন আছে। আজ থেকে একশো বছরেরও আগে কোচবিহার স্টেট রেলওয়ে ছিল কোচবিহার রাজ্যের অধীনে। হেরিটেজ সোসাইটি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ওই ইঞ্জিনটি কোচবিহারের রাজ আমলের। তা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হতে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “ওই ইঞ্জিন বা তার রেপ্লিকা কোচবিহার রেল সংগ্রহশালায় আনা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে মিউজিয়ামের গুরুত্ব আরও অনেক বেড়ে যাবে।”
ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ১৮৯৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কোচবিহারে প্রথম রেল চলে। পরের বছর ১ মার্চ থেকে যাত্রী চলাচল শুরু হয়। ১৮৯১ সালের রাজার এক আদেশনামায় লেখা হয়েছিল, কোচবিহার শহরের সুনীতি রোডের কোথাও শুরু হয়ে রেলপথ পুলিশ হাসপাতাল, প্যারেড গ্রাউন্ড (বর্তমানে তা রাসমেলার মাঠ), রতিবাবুর ঘাট হয়ে ঘুঘুমারি, দেওয়ানহাট ছুঁয়ে গীতালদহে পৌঁছবে। পরে অবশ্য রুটের পরিবর্তন হয়। ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ন্যারোগেজ রেলপথ জয়ন্তী পর্যন্ত যায়। ১৯১০ সালে মিটার গেজ হয়েছিল লাইনটি। কোচবিহার স্টেট রেলওয়ের সঙ্গে নানা ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এখনও বামনহাট পর্যন্ত রেলপথ চালু আছে।
সেই সময়ের রেলের ইতিহাস নিয়েই একটি সংগ্রহশালা তৈরি হয়েছে। কোচবিহার টাউন স্টেশনের সামনেই ওই সংগ্রহশালা তৈরি হয়েছে। মদনমোহন বাড়ির আদলে তৈরি ওই সংগ্রহশালায় দেশের বিভিন্ন জায়গার রেলের বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। তেমনই সেখানে রয়েছে রাজাদের আমলে রেলের মিটার ও ন্যরো গেজ লাইনের স্টিম ইঞ্জিন, ট্রলি, হ্যান্ড সিগনালিং যন্ত্র, গার্ডদের পতাকা, আলোকস্তম্ভ, ইঞ্জিন ভবনের ছবি, নানা দলিল দস্তাবেজ রাখা হয়েছে।
কোচবিহারের ভারতভুক্তির সময় কোচবিহার স্টেট রেলওয়েও ভারতীয় রেলের অধীনে চলে আসে। তখনই রাজ আমলের ওইসব ট্রেন ও ইঞ্জিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু বিক্রিও করে দেওয়া হয়। অরূপজ্যোতি বলেন, “রাজ আমলের রেল কোচবিহারের ঐতিহ্য। এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy