বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক তরুণী এবং ছ’বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের দুই গ্রামে। দুই অভিযুক্তই ধরা পড়েছে। বালিকাটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বছর তেইশের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মেয়েটি বাড়িতে একাই ছিলেন। বাড়ির অন্যেরা মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে পড়শি এক যুবক ঘরে ঢুকে মেয়েটির মুখ কাপড়ে বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করে। অভিযোগ, ঘটনার কথা কাউকে জানালে ‘নির্যাতিতাকে’ খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। মেয়েটি মাঠে গিয়ে বাড়ির লোকেদের ঘটনাটি জানান।
পরিবারের দাবি, ঘটনার দিনই তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। ‘নির্যাতিতার’ মায়ের কথায়, ‘‘থানায় যাচ্ছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েতের তরফে বলা হয়, ছেলের বাড়ি গিয়ে কথা বলে তার পরে সিদ্ধান্ত নিতে।’’ শুক্রবার তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে একই দলের নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। আইন আইনের পথে চলবে।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
অন্য দিকে, শুক্রবার দুপুরে জেলারই একটি গ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিল এক বালিকা। অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত যুবক তাকে ঘুড়ি দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে ঘটনা জানায়। বালিকার মা বলেন, “থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” সে রাতেই বালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। শনিবার আদালত ধৃতকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)