Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Leopard

Leopard: চিতাবাঘ-মানুষে সহাবস্থান সম্ভব, উত্তরবঙ্গে চা শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বন দফতর

জঙ্গল পেরিয়ে বন্যপ্রাণীর লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনা উত্তরবঙ্গে নতুন নয়। চিতাবাঘ চা বাগানে ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ানোর খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ২২:৩৯
Share: Save:

জঙ্গল পেরিয়ে বন্যপ্রাণীর লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনা উত্তরবঙ্গে নতুন নয়। চিতাবাঘ চা বাগানে ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ানোর খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। চা বাগানে চিতাবাঘ ঘাপটি মেরে থাকার ফলে দিনের পর দিন বন্ধ থাকে কাজ। বন্যপ্রাণীর লোকালয়ে ঢুকে আসার চেষ্টা আটকানোর জন্য অতীতে নানা কৌশল নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ চিতাবাঘের সঙ্গে সহাবস্থানই করে যেতে হয়েছে ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের। চা বাগানে ঢুকে পড়া বন্যপ্রাণীর যাতে কোনও ক্ষতি না হয় এবং জীবনজীবিকাতেও যাতে প্রভাব না-পড়ে, তা মাথায় রেখে এ বার চা শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করল বন দফতর।

বন দফতরের সহযোগিতায় ‘সলিটারি নেচার অ্যান্ড অ্যানিমেল প্রোটেকশন ফাউন্ডেশন’ (স্ন্যাপ) ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে শুরু হল ওই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। চা বাগানে চিতাবাঘের সম্মুখীন হলে কী ভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, কী ভাবে পায়ের ছাপ, গাছে আচরের দাগ দেখে চিতাবাঘের গতিবিধি অনুমান করতে হবে, তা-ই শেখানো হচ্ছে চা বাগানের কর্মীদের। এর জন্য বেশ কয়েকটি চা বাগানকেও চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে চিতাবাঘের উপদ্রব বেশি। প্রত্যেক চা বাগানের কর্মীদের একটি করে দল তৈরি করে চিতাবাঘের মোকাবিলার জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সাইরেন, কার্বাইড পাইপ, সার্চ লাইট ও জিপিএস কিট।

চা শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রজেক্ট ইনচার্জ শিমু সাহা বলেন, ‘‘বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় গিয়ে আমরা টিম তৈরি করছি। বিভিন্ন বাগানে বসানো হচ্ছে ট্র্যাপ ক্যামেরা। তার ব্যবহারও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কাজ করছি। যাতে মানুষ ও চিতাবাঘ উভয়ই সুরক্ষিত থাকে, সেটাই চাই আমরা।’’

নিউ চামটা চা বাগানের ম্যানেজার পার্থ দাস রায় বলেন, ‘‘চিতাবাঘের উপদ্রব তো আর নতুন নয়। বাগানে ঢুকে প়ড়লে আতঙ্কেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বনবিভাগ নতুন যে কর্মসূচি নিল তাতে আগামী দিনে অনেক সুবিধে হবে।’’ চা কর্মীদের সর্দার রাজেশ লোহার বলেন, ‘‘কোনও প্রাণীর ক্ষতি করা যাবে না। বাগানে কাজের সময় বহু বার সামনে দিয়ে চিতাবাঘ পেরিয়েছে। কিন্তু কখনও ক্ষতি করিনি। ম্যানেজারকে খবর দিয়েছি। বনবিভাগ এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে নতুন পদ্ধতিতে শিখছি কী ভাবে কাজ করতে হবে।’’ সুমিত বিশ্বাস নামে আর এক সর্দার বলেন, ‘‘সম্প্রতি ফাঁসিদেওয়ায় চিতাবাঘ রান্না করে খাওয়ার যে ঘটনা ঘটছে, তা নিন্দনীয়। আমরাও চিতাবাঘের সঙ্গেই কাজ করি। কিন্তু ওদের কোনও ক্ষতি করি না। নতুন পন্থায় কাজ হতে পারে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Leopard
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy