অভ্যর্থনা: আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ব্যানার লাগানো হয়েছে শিলিগুড়ির রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য সাতদিন আগে পিছিয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিলিগুড়ি সফর। রবিবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায় আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূল রয়েছে। তাই সব ঠিকঠাক থাকলে আজ, সোমবার বিকেলে প্রায় আট মাস পর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসছেন। আগামী তিনদিন উত্তরকন্যায় থেকে উত্তরের পাঁচ জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা তাঁর। সরকারি সূত্রের খবর, দীর্ঘ লকডাউনের পরে আনলক-এ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। সেখানে সরকারি স্তরে উন্নয়ন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঝালিয়ে তাতে গতি আনতেই এ বারের মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের উত্তরবঙ্গের এক শীর্ষ আমলার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তরের কাজকর্মে গতি ঠিক থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে আসছেন।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, করোনার জেরে জেলাগুলির প্রতিটির পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর জানা রয়েছে। গত এক মাসে একাধিক রিপোর্ট উত্তরের জেলাগুলি থেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এ বার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, চিকিৎসা ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান প্রকল্প, পর্যটন, চা শিল্প, কন্যাশ্রী বা ১০০ দিনের কাজের মতো সরকারি প্রকল্পের পর্যালোচনা হবে। পাহাড়ে জিটিএ-র মেয়াদ ছ’মাস বেড়েছে। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতির পাশাপাশি ছাড়াও উদ্যানপালন, পর্যটন, নগর উন্নয়ন, পরিবহণের বিষয়গুলি আলাদাভাবে থাকছে। সূত্রের খবর, আলোচনা হতে পার, দার্জিলিং পুরসভাকে কর্পোরেশন করার দাবি নিয়েও। কোচবিহার সহ পাহাড়, ডুয়ার্সের কিছু এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথাও পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী শুনবেন।
সব ঠিক থাকলে প্রথমদিন মুখ্যমন্ত্রীর জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা নিয়ে বৈঠক করার কথা। সেই বৈঠকের আগে এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ যতটা সম্ভব এগিয়ে রাখতে চাইছেন আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক কর্তারা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সে জন্যই রবিবার, ছুটির দিনেও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু সরকারি দফতরে কাজ হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’’ সমান ভাবে সেই প্রস্তুতি চলছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহার জেলা প্রশাসনের অন্দরেও। বুধবার এই তিন জেলার বৈঠক হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান একাধিক বৈঠক করেছেন। যেখানে সরকারি নানা প্রকল্প কী অবস্থায় রয়েছে এই মুহূর্তে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ, কন্যাশ্রী'র মতো প্রকল্পের সমস্ত রিপোর্ট তৈরি করে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy