গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জ্বলছে তৃণমূলের সভামঞ্চ। নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময় দলের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে আগুনও ধরানো হল।
বৃহস্পতিবার দিনহাটা-১ ব্লকের বড় আটিয়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্নির মোড় এলাকায় সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সভার মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের তির দিনহাটা-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জয় বর্মনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন এবং সিতাইয়ের বিধায়কের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘিরে বিতর্কের জেরে দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কারের জেরে তা আরও বেড়েছে। গিরিন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন জগদীশচন্দ্র। তারই জেরে বৃহস্পতিবার দলের জগদীশচন্দ্রের জনসভার জন্য তৈরি মঞ্চে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন জেলা সভাপতির অনুগামী সঞ্জয়ের সঙ্গীরা।
সঞ্জয় অবশ্য ঘটনার দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘‘যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ঠিক নয়। শ্রমিক সংগঠনের যে কমিটি আছে সেটা জেলা সভাপতি করে রেখেছেন। কমিটি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে একটা বিরোধ রয়েছে। ব্লক সভাপতির অনুমতি ছাড়াই একটা মিটিং হচ্ছে। হয়ত সেটা নিয়েই একটা জনরোষ তৈরি হয়েছিল। সাধারণ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।’’
মঞ্চ ভাঙ্গা এবং দলীয় পতাকা ফেস্টুন আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে দিনহাটার তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন বলেন, ‘‘যে বা যারা এই কাজ করেছে, মোটেও ভালো করেনি। কারা সভা ডেকেছে বা সভায় কে কে থাকবে এ বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। ওই সভার জন্য প্রশাসনের অনুমতি হয়েছিল কি না, সেটাও আমার জানা নেই।’’
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ওই সভায় দলীয় পতাকা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোড়ানোর অভিযোগের বিষয়ে উদয়ন বলেন, ‘‘যারা অভিযোগ করছে, তারা হয়তো একটু বাড়িয়ে করছে। যারা প্রকৃত তৃণমূল কর্মী, তারা কোনও দিন এমন কাজ করবে না।’’
জগদীশচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ দিনহাটা-১ ব্লক আইএনটিটিইউসি সভাপতি চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের ব্লকের শ্রমিক-কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছিল। সকালে আমি এসেছিলাম মঞ্চ বাঁধার কাজ দেখতে। সে সময় আচমকাই বাইকে চড়ে এসে কিছু দুষ্কৃতা কাজে বাধা দেয়। দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে। চেয়ার-টেবিল ভাঙে। আমাকেও মারধর করেছে তারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy