ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেই।
চিনা নাগরিক হান জুনেইয়কে জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল বিএসফের হাতে। বৃহস্পতিবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মালদহের কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানো হয়েছে, গত ২ জুন বিজনেস ভিসা নিয়ে ঢাকা পৌঁছন চিনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা হান। সেখানে এক চিনা বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। গত ৮ জুন বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ জেলার একটি হোটেল ভাড়া নেন। সেখানে দু’দিন কাটিয়ে ১০ জুন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঢোকার সময়েই গ্রেফতার হন। জেরায় হান জানিয়েছেন, এর আগে ভারতে চার বার এসেছিলেন তিনি। ২০১০-এ হায়দরাবাদে এক বার, ২০১৯-এ দিল্লি এবং গুরুগ্রামে তিন বার এসেছিলেন।
হানের দাবি, গুরুগ্রামে ‘স্টার স্প্রিং’ নামে একটি হোটেল আছে তাঁর। সেখানে চিনের বেশি কিছু লোক এবং ভারতের কিছু লোক কাজ করেন। কয়েক দিন আগে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় তাঁরই এক বন্ধু সান জুয়াং ভারতের ১০-১৫টি মোবাইল সিম তাঁকে পাঠান। তদন্তকারীদের হান জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগেই জানতে পারেন তাঁর সঙ্গী লখনউ এটিএসের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সঙ্গীই হান এবং তাঁর স্ত্রীর কথা পুলিশের কাছে বলেছেন। এবং তার পরই দু’জনের বিরুদ্ধে লখনউ এটিএস মামলা দায়ের করে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, লখনউয়ে হান এবং তাঁর স্ত্রীর নামে মামলা দায়ের হওয়ায় চিন তাঁকে ভারতের ভিসা দিতে অস্বীকার করে। তখন হান ঘুরপথে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ এবং নেপালের ভিসা নেন, যাতে ওই দুই দেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে সহজেই ভারতে ঢোকা যায়। বিএসএফ যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে হান এক জন দাগি আসামী। তাঁর কাছ থেকে অ্যাপলের একটা ল্যাপটপ, আইফোন, বাংলাদেশ, ভারত এবং চিনের বেশ কয়েকটি সিমকার্ড, পেন ড্রাইভ, ব্যাটারি, ছোট টর্চ, টাকা লেনদেনের যন্ত্র, বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড, বাংলাদেশ এবং ভারতের টাকা উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy