প্রতীকী ছবি।
দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল জলপাইগুড়ির বানারহাটে। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ, পরিচিত ৩ নাবালক বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার ৩ বছরের ভাই। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ নাবালককে গ্রেফতার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘জুভেনাইল বিষয়। ধৃতদের হোমে পাঠানো হবে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ছাত্রীর নাম নেহা ভাওয়াল (১৫)। তার বাড়ি বানারহাটের সুকান্তপল্লি এলাকায়। বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে বাড়িতে শুধু নেহা ও তাঁর ভাই ছিল। সেই সময় ৩ নাবালক বাড়িতে এসে নেহাকে মারধর করে হাত বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই গোটা ঘটনার সাক্ষী নেহার ভাই। সে-ই পরিবারের সকলকে দিদিকে খুনের কথা জানিয়েছে। নাবালিকাকে উদ্ধার করে বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। অন্য জনের বাড়ি ময়নাগুড়িতে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির নাবালকের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্য দিকে, মৃতার মা মাম্পি রাহার দাবি করেছেন, ময়নাগুড়ির নাবালক তাঁর মেয়েকে দীর্ঘ দিন ধরেই উত্যক্ত করত। শুক্রবার সে বানারহাটেও এসেছিল। যদিও ধৃতেরা খুনের ঘটনায় জড়িত নয় বলেই পুলিশের কাছে দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, রাতে তারা একসঙ্গে স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে ছিল।
পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, সকলের বক্তব্যই যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের একজনকে শনিবার আদালতে হাজির করিয়ে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে রবিবার আদালতে হাজির করানো হতে পারে বলেই খবর পুলিশ সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy