ময়নাগুড়ি যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
দল বললে আলাদা উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি সমর্থন করবেন শুভেন্দু অধিকারী। ময়নাগুড়ি ধর্ষণ-কাণ্ডে মৃতা নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার পথে এ কথা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু শুক্রবার বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে সত্যিকারের কোনও উন্নয়ন এরা (রাজ্য সরকার) করেনি। মুখ্যমন্ত্রী শুধু ঘুরতে আসেন। উত্তরকন্যা এখানে রয়েছে। কিন্তু তার কোনও কাজ নেই। সব ক্ষেত্রেই বঞ্চনা। উত্তরকন্যা থেকে কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ হলেও তার থেকে এখনও কোনও পূর্ণাঙ্গ প্রাপ্তি নেই।’’ এমনকি, জিটিএ চুক্তির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে প্রচুর টাকা এসেছে কিন্তু তার কোনও অডিট হয়নি।’’
শুভেন্দুর অভিযোগ, মালদা থেকে শুরু করে কোচবিহার পর্যন্ত , সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক বাইরের রাজ্যে রয়েছে। কারণ কোনও কর্মসংস্থান নেই উত্তরবঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের উদাসীনতার বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গের যে ক্ষোভ রয়েছে, তাকে আমি সঠিক বলে মনে করি। কিন্তু পৃথক রাজ্য বা রাজ্য ভাগের বিষয় নিয়ে দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখনই কিছু বলব , এখন আলাদা করে কিছু বলার নেই।’’
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের কারণে উত্তরবঙ্গে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। পাশাপাশি পৃথক রাজ্যের দাবি সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গে হাঁচি-কাশি হলে এখানে সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত হলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের খুঁজে পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বার বার আলাদা রাজ্যের দাবি তোলেন, আমি কখনও সে কথা মানিনি। তবে এ ভাবে যদি দক্ষিণবঙ্গের প্রশাসনের দ্বারা উত্তরবঙ্গকে প্রভাবিত বা চালিত হতে হয়, তা হলে আলাদা রাজ্যের দাবি প্রাসঙ্গিক।’’ এই আবহে বিরোধী দলেনেতার শুক্রবারের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উত্তরবঙ্গে স্কুল ছুটি দেওয়ার বিরোধিতা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘শঙ্করবাবুর চিঠি আমিও পেয়েছি।’’
ময়নাগুড়িতে নির্যাতিতার বাড়িতে দেখা করতে যাওয়ার সময় নন্দীগ্রামের বিজোপি বিধায়ক বলেন, ‘‘যেখানেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানেই যাওয়ার চেষ্টা করেছি। পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তাদের দিকে আইনি সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছি। যদি তার (মৃত নাবালিকা) বাবা সিবিআই তদন্তের দাবি জানান, তা হলে সাহায্য করব। কারণ পুলিশকে দিয়ে সুবিচার পাওয়া যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy