উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম চার পুলিশকর্মী। আহতদের শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার গভীর রাতের এই ঘটনার নেপথ্যে কারা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চোপড়ার আমতলা এলাকায় এক দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযোগ, অভিযুক্তের বাড়ির কাছে তল্লাশিতে যেতেই পুলিশের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। হামলার ঘটনায় পুলিশের দুই আধিকারিক, এক কনস্টেবল এবং এক জন গাড়ির চালক গুরুতর জখম হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীর নাম দিল মহম্মদ। তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিল মহম্মদ এবং তাঁর ছেলেরা সুদের কারবার করত। তিন মাইল এলাকার এক ব্যক্তি টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছিলেন না বলে খবর। অভিযোগ, সেই কারণে ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করে দিল মহম্মদের দলবল। সেই অপহরণের অভিযোগেই আমতলা এলাকায় যায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দিল মহম্মদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যাওয়ার পরেই আচমকা পুলিশের উপরে হামলা হয়। হামলায় মহিলারাও ছিলেন বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। পরে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে আহত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:
কয়েক দিন আগেই চোপড়ার একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, এক তরুণ এবং তরুণীকে রাস্তায় ফেলে কঞ্চির ছড়া দিয়ে যথেচ্ছ মারধর করছেন এক ব্যক্তি। চারপাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখছে একদল মানুষ। সকলের সামনে মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাচ্ছেন তরুণী। কিন্তু নিগ্রহকারীকে কেউ বাধা দিচ্ছেন না। তিনি তরুণীর চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে আবার মারছেন। মেরেই চলেছেন (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। কিন্তু ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ভিডিয়ো প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছিল নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে বটেই, শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতেও।