জলপাইগুড়ি শহরে এক জন কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। প্রতীকী ছবি।
জলপাইগুড়ি শহরে এক জন কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা কোভিডে আক্রান্ত। বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে তাঁকে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার জানিয়েছেন, ওই পরিবারের অন্যদের কোভিড পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি কোচবিহারের শিশুটির কোভিড রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাতে ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় জেলাগুলো কতটা প্রস্তুত রয়েছে, আগামী ১০ এপ্রিল সে বিষয়ে জানতে ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে বসবেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
জনস্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি সুশান্ত রায় এ দিন বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি মাসে জলপাইগুড়িতে এক জনের কোভিড ধরা পড়েছিল। তার প্রায় মাস দু’য়েক পরে, এক জন কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলল। জেলার সব ব্লকেই হাসপাতালগুলিতে কোভিড আক্রান্তদের জন্য ‘আইসোলেশন শয্যা’ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে বুধবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানান, কোচবিহারের বাসিন্দা একটি শিশু কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিল। তার কোভিড রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাতে ‘নেগেটিভ’ এসেছে। কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়লে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও কোভিড মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। হাসপাতালে ‘ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরি’ চালু রয়েছে। ‘হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট’-এ ১৮টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ৬৫টি শয্যাও কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছে ‘অক্সিজেন কনসেনট্রেটর’ও। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খান বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’ জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, সব ব্লকেই কোভিড-সচেতনতা বাড়াতে বলা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে সবাইকে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল জানান, পরিস্থিতির দিকে তাঁরা নজর রাখছেন এবং সচেতনতার প্রচার চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy