প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। —ফাইল চিত্র।
সমতল শিলিগুড়িতে গোর্খাদের এক জোট করা শুধু নয়, এক জন অভিভাবকের নেতৃত্বে একটি মঞ্চ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করলেন, ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর প্রধান তথা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা।
রবিবার শিলিগুড়ি শহরের অদূরে বাণেসশ্বর মোড় এলাকায় লিম্বু জনজাতির দুই দিনের পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন অনীত। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যতম পরামর্শদাতা গোপাল লামাও।
অনুষ্ঠানে অনীত জানান, শিলিগুড়ি জুড়ে গোর্খারা থাকেন। প্রধাননগর, গুরুং বস্তির মতো শহরের এলাকার নামকরণও তাঁদের নামে রয়েছে। পাহাড়ের অনেকেরই সমতলে বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সমতলের গোর্খারা এক জোট নন। তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে একটা মঞ্চে এনে এক জোট রাখতে হবে। বিভিন্ন ভাগ, সম্প্রদায় রয়েছে। কিন্তু আদতে সবাই গোর্খা। নেপালি ভাষা ব্যবহার সবাই করেন। সমতলে গোর্খাদের প্রয়োজন। দরকার, এক জন অভিভাবক।’’
তিনি জানান, শিলিগুড়িতে গোর্খাদের সংখ্যা অনেক। তাই তাঁরা শিলিগুড়িতে গোর্খা ভবন তৈরি করছেন। জেলাশাসকের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর হলেই, কাজ শুরু হবে। সভা থেকে গোপাল লামার ভূয়সী প্রশংসা করেন অনীত।
পাহাড়ে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার বিরোধীদের দাবি, লোকসভার ভোটবাক্সে ভোট একত্রীকরণ করার জন্যই অনীতের এই নতুন রাজনৈতিক ভাষ্য। দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার টিপ্পনী, ‘‘গোর্খাদের জন্য এত চিন্তা অবাকই করে। আসলে অনীতেরা তৃণমূলের বি-টিম। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে যা-যা করার, করে চলেছে। ভোট আসছে। এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কিছু বলা আর করা হবে।’’
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড় ছাড়়াও, শিলিগুড়ি সমতলের তিনটি বিধানসভা এবং চোপড়া বিধানসভার অংশ নিয়ে তৈরি। গত কয়েকটি ভোটে পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট অনীতদের ঝুলিতেই গিয়েছে। কিন্তু লোকসভার ভোটে সমতলের ভূমিকাও অনেকটাই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, বাস্তব বুঝেই, অনীতেরা গোর্খা ভোটকে পাহাড়ের পরে, সমতলেও একত্রিত করার চেষ্টায় নেমেছেন। কারণ, শিলিগুড়ি সমতলের ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং শিলিগুড়ি বিধানসভা বিজেপির দখলেই রয়েছে।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে ২৭ জনের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আবার গোটা পাহাড়ের দায়িত্ব ১২ জনকে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত, সেখানে বাদ রাখা হয়েছে সমতলকে।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, জিটিএ এলাকার ভোটের সংগঠন সাজানো হল। সমতলে তৃণমূলের দেখার কথা। বাকি গোর্খাদের এক জোট করে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা হবে। সেকথা মাথায় রেখেই মঞ্চ গড়ার আহ্বান করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy