—প্রতীকী চিত্র।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে ছেড়ে এলাকার এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন মহিলা। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। প্রায় আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে, ওই মহিলা স্বামীকে ফোন করে বাড়ি ফিরে আসার কথা বলেন। কিন্তু অভিযোগ, ফিরে স্বামীর কাছে আসতেই এলাকার কয়েক জন মহিলা মিলে গত শুক্রবার সালিশিসভা বসায়। সেখানে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ‘শাস্তি’ হিসেবে ওই মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সে অপমান সহ্য করতে না পেরেই মহিলা পরদিন আত্মঘাতী হন বলে দাবি তাঁর স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি এক নম্বর অঞ্চলের বকরাভিটা এলাকায়।
এলাকায় সবার সামনেই তাঁর স্ত্রীকে এবং তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলে পুলিশে অভিযোগ করেন খোদ মহিলার স্বামী। এনজেপি থানায় সেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। আরও কয়েক জনের খোঁজ শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত দু’জনের নাম সাগর রায় ও শিবানী রায়।
মৃত মহিলার স্বামী এ দিন দাবি করেন, “আমার স্ত্রী এক যুবকের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। আট দিন পরে স্ত্রী আমাকে ফোন করে। আমাকে জানায়, বাড়ি ফিরে আসতে চায়। এর পর আমি নিয়ে আসি। এলাকায় একটি সালিশি সভা বসেছিল। কয়েক জন মহিলা ছিলেন সেখানে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সেখানেই আমার স্ত্রীকে এবং মারধর করা হয়। এর পরেই অপমানে আত্মঘাতী হয় স্ত্রী। পুলিশকে জানানো হয়েছে। সালিশিসভার আগে স্ত্রীকে বাড়িতে ঠাঁই দেওয়া হলে বাড়িও ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”
জানা গিয়েছে, গত শনিবার কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন ওই মহিলা। পরে এনজেপি থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে দেহ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। মহিলার স্বামীর কথা, ‘‘এলাকায় পঞ্চায়েতের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাড়ার কয়েকজন মহিলা নিজেরাই সালিশি সভা বসান। পঞ্চায়েতের কাছে যেতে দেনিনি। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের মালতী রায় বলেন, ‘‘ঘটনার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে পুরো বিষয়টি।’’ ডিসি (পূর্ব) দীপক সরকার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy