আর জি করের ঘটনার পর কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উঠেছিল হুমকি-প্রথার (থ্রেট কালচার) অভিযোগ। যা নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটি’র সদস্যদের স্পষ্ট বার্তা ছিল, কাউকে কোনও ‘দাদা’দের কাছে মাথা নত করতে হবে না। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যাল কলেজের সকল সুবিধা-অসুবিধা নথিবদ্ধও করেছেন তাঁরা। তার পরে আজ, সোমবার কলকাতায় ‘চিকিৎসার অপর নাম সেবা’ নামে চিকিৎসকদের একটি ‘কনভেনশন’ ডাকা হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হুমকি-প্রথা লাগাম টানতে কী বার্তা দেন, সেই দিকে তাকিয়ে সকলেই।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার কলকাতায় ‘চিকিৎসার অপর নাম সেবা’ নামে চিকিৎসকদের একটি ‘কনভেনশন’ ডাকা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সে দিকে তাকিয়ে সকলে। ওই ‘কনভেনশন’-এ কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ নির্মলকুমার মণ্ডল, সহকারি অধ্যক্ষ ও সুপার সৌরদীপ রায়, কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস-সহ আরও বেশ কয়েক জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তা উপস্থিত থাকবেন। নির্মল বলেন, ‘‘আমি ওই সভায় থাকছি, এটুকু বলতে পারি।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের নিয়ে ওই কনভেনশন গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। সে কারণে ‘গ্রিভান্স কমিটি’ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ওই সভায় যোগদানের উপরে জোর দিয়েছে। শিক্ষক চিকিৎসকদের শূন্যপদ পূরণ করা, সঠিক বদলি নীতি নির্ধারণ করা, স্থানান্তরণ কমানো, স্বচ্ছ পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পার্শ্ববর্তী কলেজে পরীক্ষা নেওয়া-সহ বিভিন্ন বিষয় ওই কমিটিকে জানানো হয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হুমকি-প্রথা বন্ধ ও পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা নিয়েও আলোচনা হয়।
আর জি করের ঘটনার পর প্রভাবশালী চিকিৎসক গোষ্ঠী ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র মদতে হুমকি-প্রথার অভিযোগ নিয়ে হইচই হয়েছিল কোচবিহারে। কলেজের অধ্যক্ষ নিজেও সেই হুমকি-প্রথার কথা স্বীকার করেছিলেন। মেডিক্যাল কলেজের এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘ওই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সদর্থক বার্তা দেবেন বলে আশা করছি। সে দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)