এভিবিপি উত্তরকন্যা অভিযান, তিনবাতি মোড়ে অভিযানকারীদের চ্যাঙ্গদোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।ছবি: বিনোদ দাস
সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রতিবাদে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর ‘উত্তরকন্যা’ প্রশাসনিক ভবন অভিযানকে ঘিরে সোমবার তেতে উঠল শিলিগুড়ি। এবিভিপির কর্মী-সমর্থকেরা একাধিক জায়গায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙেন। পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। গ্রেফতার হন ছাত্র সংগঠনের ২২ জন। পরে, বন্ডে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবিভিপির দাবি, তাঁদের চার জন কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের দাবি, ঘটনার আগে, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আইন ভঙ্গ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এ দিন শিলিগুড়ি শহরের স্টেশন ফিডার রোডের হিন্দি হাই স্কুল থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রথমে, নৌকাঘাটের কাছে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। সেখানে বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে তিন বাতি মোড়ের দিকে এগিয়ে যায় মিছিল। তিন বাতিতে পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বাঁশের ব্যারিকেডের সঙ্গে লোহার ব্যারিকেট এবং জলকামান রাখা হয়েছিল। মিছিল পৌঁছতেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন নেতা, কর্মীরা।
সংগঠন সূ্ত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের উত্তরকন্যা অভিযান এ দিন শুরু হয়েছিল। সংগঠনের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি থেকে যাওয়া কর্মীদের বাস উত্তরকন্যার আগেই আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরে, ঘুরপথে তাঁদের নিয়ে গিয়ে বিকেল ৩টে নাগাদ মিছিল শুরু হয়। প্রথমে নৌকাঘাটে পুলিশ বিদ্যার্থী পরিষদের মিছিল আটকে দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং বাঁশের ব্যারিকে় ভেঙে দেন আন্দোলনকারীরা। তিনবাতিতেও আটকে যায় মিছিল। এ দিন ছিলেন এবিভিপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যাজ্ঞবল্ক্য শুক্ল। কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির সদস্য শুভব্রত অধিকারীর দাবি, ‘‘অভিযান সফল হয়েছে। পুলিশ অন্যায় ভাবে মিছিলে লাঠি চালিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy