হাসপাতালে অসুস্থ শিশুদের ভিড়। — ফাইল চিত্র।
‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ (এআরআই) নিয়ে অসুস্থ শিশুদের ভর্তি চলছেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মতো হাসপাতালগুলোতে। জলপাইগুড়ি, মালবাজারের মতো বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ‘এআরআই’ আক্রান্ত শিশুদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করতেও হচ্ছে। মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হচ্ছে। আবার কখনও জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হচ্ছে। বড় কারণ, জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ‘পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ এবং ‘নিওনেটাল ইটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ নেই।
সোমবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে দুই শিশুকে ‘রেফার’ করা হয়েছে। অন্য দিকে, শয্যার অভাবে দু’টি শয্যা জোড়া দিয়ে গাদাগাদি করে চার পাঁচটি শিশু এবং মায়েরা থাকছেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের শিশু বিভাগে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ‘এআরআই’ সংক্রমণ নিয়ে সোমবার অন্তত ২৬টি শিশু ভর্তি রয়েছে। তার মধ্যে চারটি শিশু নতুন ভর্তি হয়েছে। জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে এ দিন বিকেল পর্যন্ত ১২১ জন ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এর মধ্যে ৫৮টি শিশু জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে। বারোটি শিশুকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। অন্য দিকে, এখনও পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ প্রান্ত থেকে দু’টি শিশুকে ‘রেফার’ করা হয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে।
এ দিন সরকারি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, আশা কর্মীদের দিয়ে বাড়ি-বাড়ি খুঁজে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ শিশু রয়েছে কি না, তা দেখার জন্য। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় বাড়িতে-বাড়িতে আশা কর্মীদের পাঠিয়ে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশু রয়েছে কি না, তা দেখতে। প্রয়োজন মতো আগে থেকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করানো হবে।’’ শিলিগুড়ি পুর এলাকাতেও সমীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খান বলেন, ‘‘২০টি শয্যা আপাতত বাড়ানো হয়েছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, ‘‘মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের শিশু বিভাগ মিলিয়ে ৭৭টি শিশু জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থা হাসপাতালে করা হচ্ছে।’’
বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগী প্রচুর এলেও এখনও অ্যাডিনোভাইরাস চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy