দার্জিলিংপাহাড়ে দলকে নতুন করে ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টায় মরিয়া গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং৷ ফাইল ছবি।
আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দার্জিলিংপাহাড়ে দলকে নতুন করে ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টায় মরিয়া গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং৷ গত শনিবার দার্জিলিং পাতলেবাসে গুরুং দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশকে নিয়ে বৈঠক করেন। প্রথমে পুল বিজনবাড়ি এলাকা নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও, তা সার্বিক চেহারা নেয়। দলের সাংগঠনিক সচিব দীপেন মালেই বৈঠকটি ডেকেছিলেন। পদম ছেত্রী, পূরণ রাইদের মতো নেতারা বৈঠকে ছিলেন। সেখানে এলাকার ধরে ধরে ‘নিষ্ক্রিয়’ নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার চেষ্টা, সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাছাই করে জোট বেঁধে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার মতো বিধান দিয়েছেন গুরুং৷ এখন থেকেই বিভিন্ন পাহাড়ি সমষ্টিতে ছোট ছোট বৈঠক করে কী করে জোট করা যায়, তা দেখার কথাও বলেছেন।তবে বৈঠকে কার বা কাদের সঙ্গেজোট হতে পারে, তা অবশ্য তিনি ভাঙেননি।
গত সপ্তাহের বৈঠককে গুরুং দলীয় বৈঠক বলেই শুধু জানিয়েছেন। তবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘‘দলের পরিস্থিতি পাহাড়ে একেবারে ভাল নয়। দলের বড় অংশের নেতা-নেত্রী-কর্মী প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় চলে গিয়েছেন। অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। একার বদলে শাসক-বিরোধী জোটের মাধ্যমেই দলকে শক্তিশালী করতে হবে।’’
এ দিন মোর্চা সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও জিএনএলএফকে ছেড়ে, ফের গেরুয়া নেতারা গুরুংয়ের হাত ধরবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। কারণ, গুরুংকে নিতে হলে জিএনএলএফকে ছাড়তে হবে বিজেপির। আবার গুরুং বিজেপির পাশে গেলে, তাঁর পাশ থেকে হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডদের সরে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। একই সারিতে আছেন বিনয় তামাংয়ের মতো গোর্খা নেতারা। তাই বিনয়, অজয়দের সঙ্গে নির্দল বা বিরোধী বিক্ষুব্ধদের নিয়ে মোর্চা জোটে যেতে পারে। যদিও পাহাড়ের গুরুং বিরোধী নেতাদের মত, ‘‘দার্জিলিঙে একক রাজের গুরুং জমানা শেষ৷ শত চেষ্টা করেও তিনি কতটা সফল হবেন তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থাকবেই।’’
আগামী পঞ্চায়েতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে জোট করা নিয়ে বিজেপি, হামরো পার্টির কেউ মন্তব্য করেননি। বিজেপির পাহাড়ের নেতারা জানান, দলের নির্দেশ দেখেই পরবর্তী কালে এগোনো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy