আলোর উৎসব দীপাবলি ও কালীপূজো। এই সময় সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে মোমবাতির। মোমবাতির এই বাজারকে ধরে সাবলম্বী হতে চাইছেন ধূপগুড়ির মহিলারা। প্রথমে বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে আনছেন অপর্ণা সাহা সরকার, নমিতা রায়েরা। তার পরে তা দিয়ে বানাচ্ছেন নানা রঙের মোমবাতি। এর পরে সেগুলোকে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
এই মোমবাতি বিক্রির জন্য কয়েক জন পাইকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দীপ্তি মহন্ত, শেফালি রায়, মাধবী রায়, টিংকু মহন্তরা জানান, ধুপগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরে আমরা মোমবাতি তৈরি করি। পুজোর সময়ে মোমবাতির যা চাহিদা, তাতে অনেক সময়েই কাজের চাপ খুব বেশি থাকে। আমরা ১২জন মহিলা মিলে মোমবাতি তৈরি করছি।’’ জানা গিয়েছে গত মাসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। অনেকেই প্রথমে মোমবাতি তৈরিতে বিশেষ আগ্রহ দেখাননি। পরের দিকে পরিবারের আয় বাড়াতে ও স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে অনেকেই মোমবাতি তৈরির দিকে ঝোঁকেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)