হুইলচেয়ারে করে সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
ধর্মতলার অনশনমঞ্চে অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি তিন জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। শিলিগুড়িতেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অনশনকারী অলোক বর্মাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল আগেই। এ বার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আর এক অনশনকারী সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার সকাল থেকেই তাঁর রক্তচাপ ওঠানামা করছিল। যদিও কিছু ক্ষণ পরে ফেরেন অনশনমঞ্চে। পরেই চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়নি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই তাঁকে আবার অনশনমঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলার মঞ্চে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছিলেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। তার পরের দিন উত্তরবঙ্গে মেডিক্যালে ‘আমরণ অনশনে’ বসেন অলোক এবং সৌভিক। সাত দিন ধরে অনশন করার পর গত শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অলোক। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিসিইউ-তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। সৌভিক তখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রায় ১৯৩ ঘণ্টা অনশন চালানোর পর তিনিও বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছেন বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।
সোমবার ধর্মতলার অনশনমঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তার তনয়া পাঁজাও। আন্দোলনকারীদের সূত্রে খবর, অন্য অনশনকারীদের তুলনায় তাঁর শারীরিক অবস্থা একটু বেশিই খারাপ হয়ে গিয়েছে। তবুও অনশনমঞ্চ ছাড়তে নারাজ তিনি। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, ঘন ঘন মাথা ঘুরছে তনয়ার। উঠে বসার চেষ্টা করলে তো মাথা ঘুরছেই, শুয়ে থাকলেও তা-ই হচ্ছে। অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই দুর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি। রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ অনশনকারীদের যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল, তনয়ার রক্তচাপ কমে হয়েছে ৯৮/৭০। তাঁর নাড়ির গতি ৭৮ এবং ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ় (সিবিজি) ৬৩। মূত্রে কিটোন বডি বেড়েছে (৩+)। আগেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, সিবিজি ৬০-এর নীচে নেমে গেলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে। সেই জায়গা থেকে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি (নাক, কান, গলা সংক্রান্ত) বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট তনয়াকে নিয়ে। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘তনয়ার শরীরটা খারাপ। মাথা ঘুরছে। আমাদের মেডিক্যাল টিম ওঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। অন্যদের শরীরের অবস্থাও খারাপ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy