ছবি: সংগৃহীত।
করোনা-কালে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে, ক্যাম্পাসে বাইরে অনলাইনে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। অথচ অনেক পড়ুয়ার কাছেই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। অনেকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) দুর্গাপুরের এই ধরনের পড়ুয়াদের সাহায্য করার জন্য প্রাক্তনীদের কাছে আবেদন জানালেন কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে-সব পড়ুয়ার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ অথবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, তাঁদের অর্থসাহায্য করার জন্য আগেই আবেদন জানানো হয়েছিল। সাড়াও মিলেছিল। সংগৃহীত টাকা দিয়ে পড়ুয়াদের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছিলেন যাদবপুর-কর্তৃপক্ষ।
এনআইটি দুর্গাপুর কর্তৃপক্ষ এ বার একই ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা অনুপম বসু বৃহস্পতিবার জানান, এনআইটি দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত ৬৫০০। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৬০০ জনের ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন অথবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অতিমারির মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন যাতে বিঘ্নিত না-হয়, সেই বিষয়টি তাঁদের ভাবাচ্ছে। ৬০০ জনকে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে গেলে অর্থের প্রয়োজন।
‘‘পড়ুয়ারা যাতে স্মার্টফোন বা দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ পান, সেই জন্য যথাসাধ্য সাহায্যের চেষ্টা করব আমরা। প্রাক্তনীদের কাছে আবেদন করছি, এ ক্ষেত্রে তাঁরা যেন সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন,’’ বলেন অনুপমবাবু। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আগে কারও কোনও ধারণা ছিল না। ক্লাসে হাজিরা ছাড়াই যে অনলাইনে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলবে, সেটাও ভাবা যায়নি। তাই এই প্রতিষ্ঠানেও অনলাইনে পঠনপাঠন চালানোর তেমন পরিকাঠামো আগে গড়ে ওঠেনি। এখন সেই পরিস্থিতি এসেছে। অনলাইন-পাঠ সাফল্যের সঙ্গে চালানোর জন্য একটি ‘সেন্টার ফর ডিজিটাল লার্নিং’ গড়ে তোলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
অতিমারির মধ্যে যে-সব ছাত্রছাত্রী টিউশন ফি দিতে পারছেন না, তাঁদের সাহায্যের জন্য প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন শিবপুর আইআইইএসটি-র কর্তৃপক্ষও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy