গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
কৃষ্ণনগরে তরুণীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে আরও একটি অডিয়ো ক্লিপ (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি)। যা নিয়ে নতুন করে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে দেশলাই ও কেরোসিন কেনার কথা ধৃত প্রেমিক-যুবকের এক বন্ধুকে ওই তরুণী জানিয়েছিলেন বলেই দাবি করা হয়েছে সেই অডিয়ো ক্লিপে। তা থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তরুণী কি সত্যিই আগুনে পুড়ে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন? যদি ফোনে সে রকমই ইঙ্গিত তিনি দিয়ে থাকেন, তা হলে তাঁর সেই বন্ধু কেন পরিবারকে বিষয়টি জানালেন না?
প্রকাশ্যে আসা অডিয়ো ক্লিপে এক পুরুষ এবং এক মহিলার কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, পুরুষকণ্ঠটি মৃতা তরুণী এবং ধৃত যুবকের এক ‘কমন ফ্রেন্ড’-এর (দু’জনেরই বন্ধু)। আর মহিলা কণ্ঠটি সোনারপুরের এক তরুণীর। তদন্তকারীদের ওই সূত্রেরই দাবি, কৃষ্ণনগরের তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার আগে সোনারপুরের ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ধৃত যুবকের। তাঁকে এক বার সিঁদুরও পরিয়েছিলেন তিনি। বছরখানেক আগে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।
কী রয়েছে অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথনে? পুরুষকণ্ঠকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কেরোসিন তেল নাকি কিনেছে! দেশলাইও..।’’ জবাবে মহিলাকণ্ঠে শোনা যায়, ‘‘কী করবে?’’ পুরুষ কণ্ঠে শোনা যায়, ‘‘মরবে।’’ পাল্টা মহিলাকণ্ঠের প্রশ্ন, ‘‘পা-গ-ল?’’ পুরুষকণ্ঠ বলেন, ‘‘আমি বললাম, যা খুশি করো।’’ মহিলা বলেন, ‘‘তোমাকেই ফোন করছে! জানি না, কিছু করবে কি না। যদি কিছু করে-টরে বসে, তোমাকেই ফোন করবে।’’ পুরুষটি ফের বলেন, ‘‘আরে হ্যাঁ। আমার তো চাপ হয়ে যাচ্ছে...।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অডিয়ো ক্লিপের ভিত্তিতে ওই ‘কমন ফ্রেন্ড’ এবং সোনারপুরের ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়েছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সেগুলি বারবার যাচাই করা হচ্ছে। যে কোনও ধরনের সম্ভাব্য সাক্ষ্যই বিবেচনা করা হচ্ছে গুরুত্ব দিয়ে। যে কোনও ধরনের তথ্যপ্রমাণ যাচাই করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy