Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Flood Situation In Bengal

ভাঙনের দোসর বন্যা

জঙ্গিপুরের বড়শিমুলের বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে। বুধবার সকাল থেকেই সারাদিন ধরেই কখনও হালকা, কখনও জোরে বৃষ্টি হচ্ছে গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামগুলিতে।

ভাঙন আটকাতে ফেলা হচ্ছে বাশঁ ঝাড়।

ভাঙন আটকাতে ফেলা হচ্ছে বাশঁ ঝাড়। —নিজস্ব চিত্র।

বিমান হাজরা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৮
Share: Save:

ভাঙনের ফলে নদীপাড়ে প্রচুর এলাকায় মাটি ধসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। হুহু করে জল ঢুকছে সেই সব এলাকা দিয়ে।

এই অবস্থায় গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে বাঁশ ঝাড়ই এক মাত্র ভরসা এখন সেচ দফতরের। নদীতে জল বাড়ছে এখনও। পাড়ের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে সে জল ঢুকতে শুরু করেছে শমসেরগঞ্জ থেকে লালগোলার লতিফের পাড়া পর্যন্ত সর্বত্র।

জঙ্গিপুরের বড়শিমুলের বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে। বুধবার সকাল থেকেই সারাদিন ধরেই কখনও হালকা, কখনও জোরে বৃষ্টি হচ্ছে গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামগুলিতে।প্রতিদিনই চোখের সামনে গঙ্গায় ধ্বসে পড়ছে বড় বড় দোতলা বাড়িও।ভয়ে শতাধিক পরিবার বাড়ি ছেড়েছে গত এক সপ্তাহে।ভাঙন দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়ায় গঙ্গা পাড়ের গ্রামগুলিতে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গঙ্গা ভাঙন রোধ বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিংহ জানান, ‘‘এই মুহূর্তে ভাঙন ঠেকাবার পরিস্থিতি নেই। তাই শমসেরগঞ্জে গঙ্গা পাড়ে এবং লালগোলার পদ্মা পাড়ে বালির বস্তা ফেলে পাড় বরাবর বাঁশের ঝাড় বিছানো হচ্ছে যাতে নদীর জলের ধাক্কায় পাড়ে্র মাটি ভেঙে না পড়ে এবং বালির বস্তাগুলিও জলের তোড়ে ভেসে না যায়। সাময়িক ভাবে জলের ধাক্কা ঠেকাতে পারলে কিছুটা হলেও ভাঙনের প্রকোপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।’’ তবে জল আরও কয়েক দিন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ে যাঁরা আছেন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

গৃহহীন চাঁদতারা বিবি বলছেন, ‘‘ভাঙনের পর বৃষ্টি। রাস্তার উপর রাখা ছিল সব মালপত্র। সবটাই ভিজে গেছে বৃষ্টিতে।”

শমসেরগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এটা ম্যান-মেড ভাঙন। মুখ্যমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের জন্য সে কাজ করা যায়নি।’’ আমিরুল বলেন, ‘‘ফরাক্কায় আপস্ট্রিম থেকে ১২০ কিলোমিটার এলাকার ভাঙন রোধের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে।’’

জলস্তর কেমন

ফরাক্কা ব্যারাজের জলস্তর বুধবার ছিল ২৩.৫৩ মিটার, মঙ্গলবার ছিল ২৩.৪১ মিটার অর্থাৎ বিপদসীমার চেয়ে ১.২৮ মিটার উপরে বইছে জল।

ব্যারাজের প্রায় ৯০ ভাগ লকগেটই খুলে দেওয়া হয়েছে।

গিরিয়ায় বিপদসীমার চেয়ে ৩৭ সেন্টিমিটার উপরে জল।

শমসেরগঞ্জে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপরে জল।

অন্য বিষয়গুলি:

Flood Situation In Bengal Flood Situation Jangipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy