Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

চাপা আতঙ্কে তালাবন্ধ দুয়ার, ঘরছাড়া বিজেপি

বিজেপির দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূল এ নিয়ে চাপে ছিল।

বসন্তপুর এলাকায় রাস্তা শুনসান। কল্যাণী।

বসন্তপুর এলাকায় রাস্তা শুনসান। কল্যাণী। — নিজস্ব চিত্র।

অমিত মণ্ডল
কল্যাণী শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ০৮:২২
Share: Save:

শান্তিতেই সোমবার পুনর্নির্বাচন হল কল্যাণী ও হরিণঘাটার বুথগুলিতে। তবে কল্যাণীর সগুনা পঞ্চায়েতের বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৭/১ ভোটকেন্দ্র এলাকায় গোটা দিনে অন্য এক আতঙ্কের ছবি চোখে পড়েছে।

দৃশ্য এক— ভোটকেন্দ্রে শুধুমাত্র তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এজেন্টদের আসার জন্য মাইকিং পুলিশের পক্ষ থেকে।

দৃশ্য দুই— রাস্তাঘাট শুনশান। অনেকেই আতঙ্কিত। বেশ কিছু বাড়ি তালাবন্ধ পড়ে। কেউ জানালেন, ভোট দেবেন না। তৃণমূল নিষেধ করেছে।

দৃশ্য তিন— ভোটকেন্দ্রে তৃণমূলের লোক। অবাধে ঘুরছে তারা। ছবি তুলতে গেলে তৃণমূলের সগুনা অঞ্চলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তথা এ বারের পাশের এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত স্তরের প্রার্থীর হাসতে-হাসতে প্রচ্ছন্ন হুমকি!

দৃশ্য চার— দুপুর ৩টে নাগাদ তৃণমূল বলে পরিচিত কয়েক জন ভোটের লাইনে। কারও হাতে সদ্য ভোট দেওয়ার কালির দাগ। কারও পরিচয়পত্র নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাইন থেকে সরিয়ে দেয়। এক জওয়ান বলে— “সগুনার কাটাবেলেতে ওকে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে। আবার এখানেও এসেছে।”

বিজেপির দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূল এ নিয়ে চাপে ছিল। গত শনিবার ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল ছাপ্পা দিতে এলে স্থানীয় গ্রামবাসী এবং বিজেপির তরফে প্রতিরোধ করা হয়। ব্যালট বাক্স বাইরে এনে ভাঙচুর চালানো হয়। কলের কাছে এনে ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে, ব্যালট পেপার ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ হয় ভোটদান।

বিজেপির অভিযোগ, শনিবার রাত থেকেই এলাকায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী সন্ত্রাস চালায়। বিজেপি নেতা কুতুবউদ্দিন মণ্ডল, ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, এজেন্ট ঘরছাড়া রয়েছেন বলে দাবি। কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, “রবিবার রাতেও তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী সন্ত্রাস চালিয়েছে। পুলিশকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি।” তৃণমূলের কল্যাণী ব্লকের সভাপতি পঙ্কজ সিংহ বলেন, “বিজেপি হেরে যাচ্ছিল বলে ওই কেন্দ্রে গত শনিবার ব্যালট বাক্স ভেঙেছে। তৃণমূল বিশৃঙ্খলা করেনি। বসন্তপুরে সোমবার বাহিনী নিয়ে ভোট হয়েছে।” রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কন্নন বিজেপির অভিযোগ না শুনেই ফোন কেটে দেন।

হরিণঘাটা ফতেপুর পঞ্চায়েতের দু’টি ও কাষ্ঠডাঙা ২ পঞ্চায়েতের একটি বুথে এ দিন পুনর্নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি বুথেই তৃণমূলের ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে বিজেপি ও স্থানীয়েরা ব্যালট বাক্সে জল ঢেলেছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy