নিহত তৃণমূলকর্মী রশিদ খান। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের মুখে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ জেলা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার বেলডাঙায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার হিজুলী গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ সুত্রে খবর, গ্রামে ঘাটপাড়া গোষ্ঠী এবং মোড়লপাড়া গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হিজুলী গ্রামের দখল নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। স্থানীয়দের দাবি, গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠত গ্রাম। বৃহস্পতিবারও ফের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলডাঙা থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন রশিদ শেখ। পথে বাইক আটকে তাঁকে কোপানো হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় রশিদকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফের যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে সে জন্য গ্রামে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই খুন বলে মনে হলেও এই ঘটনায় রাজনীতির যোগের কথাও উঠে এসেছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। মৃতের এক আত্মীয়া নাসিমা বিবির অভিযোগ, হামলাকারীরা কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অপূর্ব সরকার বলেন, “নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কর্মীদেরকে খুন করছেন কংগ্রেস কর্মীরা। সঠিক ভাবে তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলব।” দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানান অপূর্ব।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরে এই খুন । নির্বাচন আগে কে কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব লেগে আছে। তার জেরেই এই খুন। এই খুনের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরা নয় তৃণমূল কর্মীরা যুক্ত আছেন বলে পাল্টা দাবি করেছেন অধীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy