গরুপাচার-সহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত ডোমকলের বিধায়ক তথা পুরপ্রধান জাফিকুল ইসলাম। সোমবার বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন ‘আক্রান্ত’ তৃণমূল নেতা প্রদীপ চাকি। প্রদীপের সুরে সুর মিলিয়ে জাফিকুলের বিরুদ্ধে সরব মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতারাও। এ নিয়ে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল জাফিকুলের সঙ্গে। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
রবিবার ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। তাঁকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রদীপ এখন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। প্রদীপের অভিযোগ, ডোমকলের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ঋজু পাল এবং দলের প্রাক্তন অঞ্চল যুব সভাপতি বাবু শেখের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের দিকেও আঙুল তুলেছেন প্রদীপ। তাঁর কথায়, ‘‘বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম মাদক পাচারের মূলচক্রী। গরুপাচারের অন্যতম মিডলম্যান। পুরসভার বিভিন্ন দফতরে যত অস্থায়ী নিয়োগ হয়েছে সকলেই জাফিকুলের আত্মীয়।’’
আরও পড়ুন:
-
দুয়ারে রেশন চলবে রাজ্যে, আর কোনও বাধা নেই, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ
-
খুনের পর শ্রদ্ধার আংটি খুলে নতুন বান্ধবীকে উপহার! আফতাবের ‘বহুরূপ’ ভাবাচ্ছে পুলিশকে
-
বিশ্বকাপে রাজনীতির বিতর্ক, বন্ধ হয়ে গেল সাংবাদিক বৈঠক, আমেরিকার নির্বাসন দাবি ইরানের
-
ছবির বিষয় নির্বাচনে অনীক কি ‘সেফ’ খেলছেন? আনন্দবাজার অনলাইনে উত্তর দিলেন পরিচালক
প্রদীপের সুরে সুর মিলিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি শাখরভ সরকার অভিযোগ করেছেন, ‘‘গরুপাচার এবং কয়লাপাচারে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত বিধায়ক জাফিকুল। কেন্দ্রীয় তদন্তের ভয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়ে আছেন বলে দাবি করছে তাঁর দলেরই নেতা।’’ তৃণমূলের একটি শিবির এবং বিজেপির যুগপৎ ভাবে এই অভিযোগ নিয়ে কোনও উত্তর দেননি জাফিকুল। ডোমকলের পুরপিতা তথা বিধায়কের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। প্রদীপের উপর হামলার অভিযোগের ঘটনায় মোট ১১ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। রবিবার রাতে ডোমকল থানার পুলিশ মুকবল শেখ এবং আনোয়ার রফিক নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।