তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন। প্রতীকী ছবি।
প্রতি ঘণ্টায় চাই জর্দাপান। সেই পান কিনতে গিয়েই খুন হতে হল নদিয়ার তৃণমূল নেতা আমোদ আলি বিশ্বাসকে (৫৪)। দু’টি বাইকে ৫ জন এসে তাঁকে ঘিরে ধরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পানের দোকানের সামনে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আমোদ। এর পর স্থানীয়েরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ নদিয়ার হাঁসখালির ছোট চুপড়ি বাজারে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, আমোদ এলাকায় ‘সমাজবিরোধী’ বলেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে খুন এবং বেআইনি অস্ত্র মজুতের মতো একাধিক মামলা রয়েছে। আমোদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমোদ জমি কেনাবেচা-সহ একাধিক সিন্ডিকেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলাও রয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে রানাঘাট পুলিশ। একাধিক খুন, খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র কারবার-সহ বেশ কয়েকটি মামলায় জামিনে রয়েছেন আমোদ। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর সঙ্গে এলাকার অন্য একটি গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল। একটি জমির দখলকে কেন্দ্র করে সেই শত্রুতা চরমে পৌঁছয়। পুলিশের অনুমান, খুনের নেপথ্যে ওই ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠী’র হাত থাকতে পারে।
রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘আমোদ আলি বিশ্বাস দীর্ঘ দিন সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন এবং খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। দুষ্কৃতীদের দু’টি গোষ্ঠীর লড়াইয়ে খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এলাকায় নিজের প্রভাব ধরে রাখতে এবং পুলিশি ঝঞ্ঝাট থেকে বাঁচতে শাসক দলের ছত্রছায়ায় ছিলেন আমোদ। স্থানীয় মিটিং-মিছিলের মঞ্চ বাঁধা থেকে শুরু করে লোক জোগাড় করার গুরুদায়িত্ব থাকত আমোদের উপর। হাঁসখালি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শিশির রায় বলেন, ‘‘প্রাক্তন ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতির ঘনিষ্ট ছিলেন। আমি আসার পর ওঁর ডানা ছাঁটার কাজ শুরু করেছি। তবে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যি প্রকাশ্যে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy