সরানো হল তেহট্ট হাট। — নিজস্ব চিত্র।
আবারও স্থানান্তরিত করা হল তেহট্টের ঐতিহ্যবাহী হাট। এ নিয়ে দুই বার একই হাটের স্থান পরিবর্তন করল প্রশাসন। শনিবার ও রবিবার সকাল থেকে মাইকে প্রচার চালিয়েছে প্রশাসন। মূলত জলঙ্গির দূষণ রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
তেহট্ট ১ ব্লক অফিস সংলগ্ন কর্মতীর্থের পাশে রবিবার থেকে বসল এই ঐতিহ্যবাহী হাট। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট পঞ্চায়েত সংলগ্ন খেয়াঘাট যাওয়ার রাস্তায় বসত তেহট্টের ঐতিহ্যবাহী হাট। মূলত বৃহস্পতিবার ও রবিবার এই হাট হয়। তবে কয়েক মাস আগে প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক বাজার পরিদর্শনের পাশাপাশি হাট পরিদর্শন করেন।
এবং সে সময়ে ওই হাট স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জায়গা ঠিক হয় তেহট্ট পঞ্চায়েতের পাশে নিচু বাজার সংলগ্ন জলঙ্গির নদীর তীরে। বেশ কয়েক মাস ধরে সপ্তাহের দু’দিন সেখানেই বসছিল হাট। কিন্তু আবার সেই হাট সরানোর সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন হাট ব্যবসায়ীরা, এমনটাই দাবি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে এত দিন হাট বসে আসছিল, তা একেবারে জলঙ্গির নদীর পাশে। কাজেই হাটের নানা দ্রব্য নদীর তীরে জমছিল। যে কারণে নদী দূষণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাটের জন্য নতুন জায়গা ঠিক করা হয়েছে তেহট্ট কর্মতীর্থের পাশে ফাঁকা জায়গায়। তবে এই জায়গাও প্রায় জলঙ্গির পাশেই বলা যেতে পারে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, নদী থেকে অনেকটা দূরেই হাট বসবে। আর প্রশাসনের তরফে রক্ষণাবেক্ষণ চলবে। শুধু তাই নয়, নিষিদ্ধ প্লাস্টিকও এই হাটে ব্যবহার হবে না। সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হবে। বর্জ্য পদার্থ ফেলার জন্য হাট-সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের তরফে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ভ্যাট।
রবিবার নির্দিষ্ট জায়গাতেই বসতে দেখা গেল সেই হাট। তবে সব ব্যবসায়ীদের সেখানে বসতে দেখা গেল না এ দিন। বিকেলে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও সেটা খুব বেশি নয় বলেই জানিয়েছেন হাট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, ধীরে ধীরে হাট স্থানান্তরের খবর ছড়াতে থাকলে আগামী দিনে আগের মতো ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাবে।
এই প্রসঙ্গে তেহট্ট ১ বিডিও শুভাশিস মজুমদার বলেন, “নদী বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত। প্রশাসন নানা বিষয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করবে। ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy