গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রধানশিক্ষক ও তাঁর পুত্র। মুর্শিদাবাদের সেই স্কুল আবার খবরে উঠে এল। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই ইস্তফা দিলেন ওই স্কুলের এক শিক্ষক এবং করণিক। যা নিয়ে আবার জলঘোলা শুরু হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা এ রহমান হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে নথি জাল করে ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে সিআইডি। আশিস ও তাঁর ছেলে অনিমেষ গ্রেফতারও হন। এখন তাঁরা জামিনে মুক্ত। গ্রেফতার হয়েছিলেন এক প্রাক্তন স্কুল পরিদর্শকও। সেই মামলাতেই স্কুলের আর এক শিক্ষক আব্দুল রাকিব ও করণিক আব্দুর রাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। এর ঠিক পরেই ইস্তফা দিলেন দু’জন।
স্কুল সূত্রে খবর, আব্দুল নিয়মিত স্কুলে এলেও এক বছর ধরে নানা কারণে ছুটিতে ছিলেন ওই করণিক। টিচার ইনচার্জ মইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘এক জন সহ-শিক্ষক, এক জন ক্লার্ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁরা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। ৭ হাজার পড়ুয়া আমাদের। অথচ এক জন ক্লার্ক ছিলেন। যদিও তিনি এক বছর ধরে স্কুলে আসছিলেন না। এর মধ্যে হঠাৎ রিজ়াইন করলেন। তবে ওই স্যর আসতেন। বুঝলাম না ইস্তফা কেন দিলেন?”
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতির শেরপুরের বাসিন্দা আব্দুল ওই স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন ২০১১ সালে। আব্দুর কাজে যোগ দেন পরের বছর, ২০১২ সালে। তিনি সুতির সোদপুরের বাসিন্দা। দু’জনের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। রাহিদের বাড়িতে গেলেও তাঁর দেখা মেলেনি। তাঁর বাবা জানান, ছেলে বাড়িতে নেই। আব্দুলের বাড়িতে গিয়েও একই উত্তর মেলে। জেলা স্কুল পরিদর্শক বলেন, ‘‘স্কুলের কাছ থেকে শুনলাম, ওঁরা ইস্তফা দিয়েছেন। তবে কী কারণে এই ইস্তফা, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy