এক যুগ পার হয়ে গেলেও কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে (জেএনএম) কোনও সুপার স্পেশ্যালিটি পরিষেবা এখনও চালু করা গেল না।
কোনও মেডিক্যাল কলেজ স্তরের হাসপাতালে এই অবস্থা কখনওই কাম্য নয় বলে হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক জানাচ্ছেন। এর ফলে রোগীদের হয়রানিরও অবসান হচ্ছে না। যে কোনও জটিল সমস্যায় কাছাকাছি মেডিক্যাল কলেজ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কলকাতায় বা অন্য মেডিক্যাল কলেজে ছুটতে হচ্ছে।
চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। তাঁদের পঠনপাঠন ধাক্কা খাচ্ছে। সুপার স্পেশ্যালিটি বিষয়গুলি তাঁরা খাতায়কলমে শিখতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তাঁদের কলকাতার বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে দু’তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসতে হচ্ছে।
জেএনএমের অধিকাংশ শিক্ষক চিকিৎসকও এতে ক্ষুব্ধ। তাঁদের কথায়, জেএনএমের তুলনায় বয়সে নবীন অনেক মেডিক্যাল কলেজে এই বিষয়গুলি চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেএনএমের এই পিছিয়ে পড়া নিয়ে এই মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও হেলদোল নেই।
জেএনএম অনুমোদন পায় ২০০৯ সালে। পরের বছর ২০১০ সাল থেকে পঠনপাঠন শুরু হয়। কিন্তু এখনও এখানে নিউরোলজি, নেফ্রোলোজি, কার্ডিওলজি, নিউরো সার্জারি, ইউরো সার্জারি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, এন্ডোক্রিনোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি ইত্যাদি বিভাগ নেই। এন্ডোস্কোপি, কোলনোস্কোপির মতো জরুরি পরীক্ষাও এখানে হয় না। বাইরে থেকে টাকা দিয়ে করাতে হয়। ক্যানসারের চিকিৎসারও ব্যবস্থা নেই।
কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যভবনে আবেদন করেছে। অর্থ দফতর থেকে অনুমোদন আসলে তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির জন্য চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।’’ রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালকে ফোন করা হলে তিনি প্রথমে টেক্সট করতে বলেন। কিন্তু টেক্সটের কোনও উত্তর তিনি দেননি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)