সম্প্রতি গেদে থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার ট্রেনে এক সংখ্যালঘু যাত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে কিছু নিত্যযাত্রীর বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদ জানিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট মঙ্গলবার রাতেই সকলের নজরে আসে। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত রেলপুলিশ বা রেল রক্ষী বাহিনীর (আরপিএফ) কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে কারা এই নিগ্রহে যুক্ত ছিল, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে রেলপুলিশ। আরপিএফ জানিয়েছে, তারা রানাঘাট-সহ কয়েকটি স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
সমাজমাধ্যমে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ন’টার ৩১৯১৮ ডাউন গেদে-শিয়ালদহ লোকালে উঠেছিলেন এক সংখ্যালঘু যাত্রী। আসনের উপরে বাঙ্কে তিনি ব্যাগ রেখেছিলেন। অভিযোগ, সংখ্যালঘু যাত্রীর টুপি ও দাড়ি দেখে ১০-১২ জন ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক’ কথাবার্তা বলতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে শুরু হয় মারধর। আসন থেকে টেনে-হিঁচড়ে তুলে দেওয়ারও চেষ্টা হয়।
এর আগে রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার ট্রেনে দুই দাড়িওয়ালা সংখ্যালঘু শ্রমিককেও আসন থেকে ‘বলপূর্বক’ তুলে দেওয়ার চেষ্টার তিনি প্রত্যক্ষদর্শী বলেও ওই পোস্টদাতা দাবি করেছেন। তবে দিনভর চেষ্টা করেও তাঁর বা মঙ্গলবারের ‘আক্রান্ত যাত্রী’র সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হামলা প্রসঙ্গে রানাঘাট প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বোধিসত্ত্ব চক্রবর্তী বলেন, "নিত্যযাত্রীদের একাংশের হাতে যে অন্য যাত্রীদের অত্যাচারিত হতে হয়, সেই বিষয়টি অস্বীকার করার জায়গা নেই। আমরা মাঝে-মধ্যেই এই ধরনের অভিযোগ পাই। তবে শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে আক্রোশের শিকার হতে হয়েছে, এমন অভিযোগ আগে শুনিনি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)