— প্রতীকী চিত্র।
শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতিতেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় রোগীর পরিবারের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সরকারি হাসপাতাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল নীল মণ্ডল নামে বছর ছয়ের একটি শিশুর। খড়গ্রামের বাসিন্দাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। কিন্তু চিকিৎসক শিশুটির ঠিকমতো চিকিৎসা করেননি বলে অভিযোগ। রোগী পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই বমি করছিল নীল। সঙ্গে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিল সে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে। মৃতের বাবার দাবি, কান্দি মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ঠিক মতো তাঁর ছেলের চিকিৎসা করেননি। তিনি বলেন, “ছেলেটা বার বার বমি করছিল। চেম্বারে অন্য ডাক্তার দেখালাম। ওষুধ দিল। সেই ওষুধ খাওয়ার পর একটু ঠিকও হল। পরে আবার রাত থেকে বমি হল। হাসপাতাল নিয়ে গেলাম। ভর্তি হল সেখানে। রাতে ঠিক হল। সকালে ডাক্তার বললেন, ইউএসজি করতে হবে। আমি বললাম, বাইরে থেকে করিয়ে আনছি। তার কিছু ক্ষণ পরে ছেলেটা মারা গেল।’’
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কান্দি মহাকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলরাম দত্ত বলেন, ‘‘শিশুটিকে সুস্থ করতে হাসপাতালে পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে হয়েছিল। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তবে এখানে গাফিলতির কোনও প্রশ্ন নেই।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রোগীর পরিবারের আবেগকে সম্মান করেন তাঁরা। কিন্তু রোগীর মৃত্যু মানেই সেটা চিকিৎসায় গাফিলতিতে যে হয় না, সেটাও বুঝতে হবে। হাসপাতালে ভাঙচুর কিংবা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণে আখেরে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। তাতে দুই পক্ষেরই ক্ষতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy