গত কয়েক দিনে জেলা বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালান টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বহরমপুরের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালান সদর মহকুমাশাসক সহ অন্য আধিকারিকেরা। যদিও হরিহরপাড়া, নওদার মতো মফসসলের বাজারে আনাজের দাম নিয়ে নজরদারি নেই বলে দাবি একাংশের ক্রেতা সাধারণের। তা ছাড়া, সে সমস্ত জায়গায় টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা বা প্রশাসনের কর্তারা অভিযান চালিয়েছেন তৎক্ষনাৎ দাম কিছুটা কমালেও টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা জায়গা ছাড়তেই ফের আগের দামে আনাজ কিনতে হয়েছে বলে দাবি ক্রেতা সাধারণের একাংশের।
বহরমপুরের বাসিন্দা সুসিত দাস বলেন, “টাস্ক ফোর্সের অভিযানই সার। অভিযান চালানোর পর ফের সেই পুরনো দামেই আনাজ কিনতে হচ্ছে।” হরিহরপাড়ার বাসিন্দা লালন মণ্ডল বলেন, “সব আনাজের দাম চড়া। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারি কই চোখে পড়েনি।” জেলা কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বিভিন্ন বাজারে লাগাতার অভিযান চলছে। দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”
আলু ব্যবসায়ী সংগঠন ও হিমঘর মালিকদের ডাকা কর্মবিরতি ও ধর্মঘটের জেরে আলুর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪০ টাকা কেজি। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাধারণ আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। বুধবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকেরা। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে পড়শি জেলার বিভিন্ন হিমঘর থেকে জেলায় আলু ঢুকতে শুরু করেছে। তবে আলুর সেই জোগান পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের একাংশ। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে সাধারণ আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি।
হরিহরপাড়ার এক আনাজ বিক্রেতা একসাদুল শেখ বলেন, “চার দিন আলু ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও শুক্রবার থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। হুগলি, বর্ধমানের হিমঘর থেকে আলু আসতে শুরু করেছে।” ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, সপ্তাহ খানেক আগেও ৫০ কেজি আলুর প্যাকেটের দাম ছিল ১৩৪০ টাকা। ধর্মঘটের জেরে সেই আলুর প্যাকেটের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৬০০ টাকা। শুক্রবার ফের সেই আলু মহাজনদের ঘর থেকে ১৪৮০ টাকায় কিনেছেন খুচরা বিক্রেতারা। নাজির হোসেন নামে এক আলুর কারবারি বলেন, “অন্য জেলা থেকে আলু ঢুকতে শুরু করেছে। আশা করছি শনিবার, রবিবার আলুর দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)