Advertisement
E-Paper

মাস ঘুরতেই একে একে বিকল পথবাতি

স্থানীয় সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি হরিহরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ২৪২টি সৌরবাতি লাগানো হয়েছিল। সাংসদ তহবিলের টাকায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই বাতি বসানোর কাজ তদারকি করেন শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১১
Share
Save

দুর্গাপুজোর আগে ঘটা করে এলাকায় সৌরবাতি বসানো হয়েছিল। আলোয় ঝলমলে হয়ে উঠেছিল হরিহরপাড়ার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, পাড়ার মোড়। তা দেখে মুখে হাসি ফুটেছিল এলাকার বাসিন্দাদের। কিন্তু দেড় মাস যেতে না যেতেই খারাপ হতে শুরু করেছে একের পর এক সৌরবাতি। ফলে সন্ধে নামলেই ফের অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। বিকল সৌরবাতিগুলি দ্রুত সারাইয়ের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি হরিহরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ২৪২টি সৌরবাতি লাগানো হয়েছিল। সাংসদ তহবিলের টাকায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই বাতি বসানোর কাজ তদারকি করেন শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই। অভিযোগ, সৌরবাতি বসানোর পর মাসখানেক সেগুলি নিয়মিত জ্বলেছিল। তারপর একের পর এক সৌরবাতি বিকল হয়ে পড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হরিহরপাড়া সেতু থেকে স্থানীয় এক সিনেমা হল পর্যন্ত প্রায় ১৫টি পথবাতি লাগানো হয়েছিল। চার থেকে পাঁচটি সৌরবাতি এখনও জ্বলে। বাকিগুলিতে আলো জ্বলে না। ফলে ওই এলাকার একটি আনাজ বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকা এমনকি বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাটও সন্ধ্যার পর আঁধারে ডুবে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। আব্দুল আলিম নামে হরিহরপাড়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর ক্ষোভ, ‘‘সৌরবাতি বসানোর মাসখানেক পর থেকেই একের পর এক বাতি বিকল হতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন ধরে অধিকাংশ বাতিতেই আলো জ্বলছে না। ফলে সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, অতি নিম্নমানের বাতিগুলি বসানো হয়েছিল। সেগুলি দ্রুত মেরামত করা না হলে এলাকায় দুষ্কর্ম বাড়তে পারে।’’ আরেক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় পথবাতি বসানোর দাবি করা হত। তারপর প্রশাসন যখন আলোগুলি বসাল, নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম, যাক এবার বোধহয় অন্ধকারে আর কাটাতে হবে না। কিন্তু কোথায় কী! মাস ঘুরতে না ঘুরতেই একের পর এক পথবাতি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কারও কোনও হেলদোলও নেই।’’ তবে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হরিহরপাড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, ‘‘অধিকাংশ সৌরবাতিতেই ব্যাটারির কিছু সমস্যা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ঠিকাদার সংস্থাকে বলা হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই সেগুলি সারানো হবে।’’

solar street lamps Hariharpara Poor condition

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}