রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে এই শয্যা থেকেই পালায় বন্দি। সোমবার। ছবি: সুদেব দাস।
সাত মাসের ব্যবধানে জেলায় ফের বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটল। সোমবার সকালে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল থেকে এক বন্দি পালিয়ে যায়। সশস্ত্র পুলিশ কর্মী থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে কী ভাবে সে পালিয়ে গেল তা পুলিশকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে শান্তিপুর থেকে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয় বছর উনিশের আব্দুল গফফর শেখকে। তার বাড়ি শান্তিপুরের হিজুলিতে। তখন থেকে মামলাটি রানাঘাট আদালতে বিচারাধীন। অভিযুক্তকে রাখা হয়েছিল রানাঘাটের উপ সংশোধনাগারে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার সন্ধ্যায় কাশি ও সঙ্গে রক্তক্ষরণ নিয়ে আব্দুলকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন উপ-সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সে যাতে হাসপাতাল থেকে পালাতে না পারে, সে জন্য রানাঘাট পুলিশ জেলার রিজার্ভ অফিসার উপ সংশোধনাগারে আবেদনের ভিত্তিতে দুই সশস্ত্র পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে মোতায়েন করেন।
এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ পরীক্ষার জন্য আব্দুলের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। তারপরই সে পুলিশ কর্মীদের নজর এড়িয়ে হাসপাতাল থেকে পালায়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গত ১০ মে বিচারাধীন বন্দি মইদুল মণ্ডল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায়। যদিও তাকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিনের প্রত্যক্ষদর্শী এক রোগীর আত্মীয় সুশান্ত রায় বলেন, "পুলিশ ওই সময় ওই বন্দির মাথার কাছেই বসেছিল। রক্ত পরীক্ষার জন্য ওর রক্ত নেওয়া হয়। তারপরেই বারান্দা দিয়ে পালিয়ে যায় সে।"
হাসপাতাল সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন,"বিচারাধীন বন্দির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়ন ছিল। তারপরেও কী ভাবে সে পালাল তা পুলিশই বলতে পারবে। সকাল এগারোটা নাগাদ বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। তারপরে হাসপাতালে তরফে নিখোঁজের বিষয়টি রানাঘাট থানায় লিখিত আকারে জানানো হয়।"
প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের নজর এড়িয়ে বিচারাধীন বন্দি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায় কার? সূত্রের খবর, সংশোধনাগারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের হয়ে রিজার্ভ অফিসার সশস্ত্র পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে মোতায়েন করেছিলেন। তাই বন্দি পালানোর দায় জেলা পুলিশেরই।
এ বিষয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মিটিংয়ে ব্যস্ত। পরে কথা বলব।’’
যদিও পরে আর তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত মে মাসে কৃষ্ণনগর আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার আগেই পুলিশের নজর এড়িয়ে বিচারাধীন বন্দি বিল্লাল মণ্ডল পালিয়ে যায়। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। ওই সপ্তাহেই রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের শৌচালয় থেকে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটে। সাত মাস পর ফের সেই হাসপাতাল থেকে পালাল বিচারাধীন বন্দি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy