ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। — নিজস্ব চিত্র।
চাপড়ায় বিস্ফোরণেই তৃণমূল নেতার বাড়ি ভেঙে পড়েছিল কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। ঘটনাস্থলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক সইফুল ইসলাম ঘরামিকে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার নদিয়ার চাপড়ার হাতিশালায় আচমকা ভেঙে পড়ে তৃণমূলের এক কর্মীর বাড়ির একাংশ। সেই ঘটনাতেই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় সইফুলকে। তিনি সম্পর্কে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল মতিনের ভাগ্নে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য বা ওই ধরনের কোনও জিনিসের কারবার এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বুধবার বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার পর পর স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, বাড়িতে মজুত করা বিস্ফোরক থেকেই বিস্ফোরণ হয়। তার ফলেই ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। পুলিশ যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক কিছু মেলেনি। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্যা পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সইফুল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চাপড়া থানা এলাকার বৃত্তিহুদা গ্রাম থেকে শুক্রবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, নদী পেরিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল সইফুল। তার আগেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সঞ্জয়কুমার মাকোয়ান বলেন, ‘‘ওই বাড়িতে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠছিল। ঘটনাস্থলের নমুনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy